স্ত্রীর মর্যাদা পেতে দ্বারে দ্বারে চুয়াডাঙ্গার আমিরপুরের রাশেদা

টাকা ধার নিয়ে পরিশোধ করতে না পেরে বিয়ে : স্ত্রীর স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার

স্টাফ রিপোর্টার: টাকা ধার নিয়ে পরিশোধ করতে না পেরে বিয়ে করে। পরবর্তীতে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করায় স্ত্রীর মর্যাদা পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন রাশেদা খাতুন। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের আমিরপুরের মৃত সবদ আলীর মেয়ে। গতকাল শনিবার দুপুরে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে রাশিদা খাতুন বলেন, আমি স্বামী পরিত্যক্তা। আমার ছোট্ট একটি দোকান আছে, তা দিয়েই কোনো রকম সংসার চলে। দোকানে যাওয়া-আসা ও লেনদনের মাধ্যমে একই গ্রামের মৃত নুর বক্সের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান শিল্পির সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে আমার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নেন। টাকা পরিশোধ করতে না পেরে ২০১৭ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সিদ্দিক আমার সাথে বিয়ে করেন। বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখে আমরা দু’জন গোপনে সংসার করতে থাকি। বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে সিদ্দিক স্ত্রীর স্বীকৃতি দিতে অস্বিকার করে। এ নিয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ তারিখে চুয়াডাঙ্গা আমলি আদালতে কৌতুক নিরোধ আইনে আমলা দায়ের করি। বর্তমানে মামলা চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে সিদ্দিক মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। আমি বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। স্বসম্মানের সহিত স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে সিদ্দিক আমাকে যেন তার বাড়িতে নিয়ে যায়। উল্লেখ্য, সিদ্দিক গত ২৫ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আমার ঘরে আসে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে আমাদের বাড়ি থেকে সিদ্দিককে আটক করে। এ সময় ডালিম, কালু, তানা, রসুল, কল্পনাসহ ১০-১২জন আমার বাড়িতে আমাদের বাড়ির লোকজনদের মারধোর করে বাড়ি ভাঙচুর করে সিদ্দিককে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।