হাতে থাকা রড বিদ্যুতায়িত হয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু

দামুড়হুদায় বিল্ডিংয়ের কোল ঘেষে ১১হাজার ভোল্টের তার : কাজ করতে গিয়ে বিপত্তি

দামুড়হুদা অফিস: দামুড়হুদায় নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ে রড বাঁধার কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে পলাশ (২০) নামের এক নির্মাণ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঝলসে গেছে তার বুকসহ দেহের বিভিন্ন অংশ। নিহত যুবক পলাশ দামুড়হুদা দশমীপাড়ার ইসলাম উদ্দিনের ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা শহরের বনানীপাড়াস্থ শাহিনুর মিয়ার নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের দোতালায় রড কাটার সময় বিল্ডিংয়ের সামনে দিয়ে যাওয়া ১১হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তারে তার হাতে থাকা রডটি ঠেকে যায় এবং বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। এদিকে এ ঘটনার পরপরই বিল্ডিংয়ে কর্মরত হেড মিস্ত্রি ইস্রাফিল হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান স্থানীয়রা। আজ শুক্রবার বেলা ১০টায় স্থানীয় ঈদগাহ ময়দানে নিহত পলাশের লাশের জানাজার নামাজ শেষে স্থানীয় কবরস্তানে দাফন সম্পন্ন করা হবে। এদিকে পলাশের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত নারী-পুরুষ ভিড় জমাতে শুরু করে। ছুটে আসেন পরিবারের লোকজন। তাদের কাঁন্না আর আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। উৎসুক জনতার ভিড় সামলাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। ওই মহল্লার বাসিন্দা বাদশা মিয়া জানান, নিহত যুবক পলাশ পার্শ্ববর্তী আশার বাড়িতে কাজ করছিল। রড কাটার জন্য সে এই বিল্ডিংয়ে আসে। সে একটি রড কেটে বিল্ডিংয়ের সিড়ি দিয়ে নামার সময় বিল্ডিংয়ের সামনে দিয়ে যাওয়া ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তারে তার হাতে থাকা রডটি ঠেকে যায়। সাথে সাথে একটা বিকট শব্দ হয়। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই মারা যায় পলাশ। বিদ্যুতায়িত হয়ে মুহূর্তের মধ্যে ঝলসে যায় তার দেহ। নিহত যুবক পলাশের চাচা মসলেম উদ্দিন জানান, পলাশ মাত্র মাস খানেক আগে নির্মাণ শ্রমিক ইসরাফিলের সাথে কাজ শুরু করে। এর আগে সে ফার্নিচারের দোকানে কাজ করতো। ২ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে নিহত পলাশ ছিলো ভাইদের মধ্যে ছোট।

দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান দামুড়হুদা ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী। এ সময় তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারকে গভীর সমাবেদনা জানিয়েছেন।

Comments (0)
Add Comment