প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই দামুড়হুদার ডুগডুগি পশুহাট চালুর চেষ্টা : প্রতিরোধ

দামুড়হুদা ব্যুরো: দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর দামুড়হুদার ডুগডুগি পশুহাটটি পুনরায় চালু করার জন্য মালিকপক্ষ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করলেও গ্রামবাসীর প্রতিরোধের মুখে শেষমেষ তা ভেস্তে গেছে। স্থানীয় বেশকিছু ব্যাপারি পশুহাটে উপস্থিত হলেও হাট না বসায় গরু-ছাগল নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় হাট বসাতে ব্যর্থ হয়েছেন মালিকপক্ষ। ফলে বিপাকে পড়েছেন দূর-দূরান্ত থেকে আগত বেশকিছু ব্যাপারি। গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে ডুগডুগি গ্রামবাসী পশুহাট বসাতে বাধা হয়ে দাঁড়ালে শেষমেষ আর হাট বসাতে পারেনি মালিকপক্ষ।
গ্রামবাসী জানায়, গতকাল সোমবার ভোর বেলা বেশ কয়েকটি হাত ধোয়ার বেসিন নিয়ে হাট এলাকায় হাজির হন মালিকপক্ষের লোকজন। সকাল হওয়ার পরপরই স্থানীয় ব্যাপারিরা গরু-ছাগল নিয়ে হাটে আসতে শুরু করে। পশুহাটের স্থানে বসানো কাঁচাবাজার সরিয়ে নিতে মালিকপক্ষের লোকজনের জোর তাগিদ দিতে থাকেন। মালিকপক্ষের লোকজনের এমন তোড়জোড় দেখে বিষয়টি গ্রামবাসীর বুঝতে বাকি ছিলো না। অনেকেই ভেবেই নিয়েছিলেন (আজ সোমবার) পশুহাট বসবে। এরই এক পর্যায়ে বাধা হয়ে দাঁড়ায় গ্রামবাসী। গ্রামবাসীর প্রতিরোধের মুখে শেষমেষ পশুহাট চালু করতে পারেননি মালিকপক্ষের লোকজন। গ্রামবাসীরা জানায়, ডুগডুগি পশুহাট এলাকাটি গ্রামের মাঝখানে অবস্থিত। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে সম্প্রতি রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি হাট বসানোর জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো অনুমতি নেই। করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে এছাড়া আমাদের কোনো পথ ছিলো না বলেও জানান তারা। গরু-ছাগল নিয়ে হাট থেকে ফিরে আসা বেশকিছু স্থানীয় ব্যাপারি বলেছেন, আমরা হাট মালিকের লোকজনের ফোন পেয়ে হাটে আসি। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় আমরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে পশুহাট চালু করার কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি। হাটে মালিকপক্ষের কাউকে পাওয়া না যাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

Comments (0)
Add Comment