দামুড়হুদার পাটাচোরা গ্রাম পরিদর্শন ও মাস্ক বিতরণকালে ইউএনও দিলারা রহমান

গ্রামবাসির চোখে রয়েছে অনেক স্বপ্ন আর প্রত্যাশার প্রতিচ্ছবি

দামুড়হুদা ব্যুরো : গ্রাম হবে শহর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনার সুফল পেতে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পাটাচোরা গ্রামবাসি। সরকারি পৃষ্টপোষকতায় বদলাতে শুরু করেছে অবহেলিত গ্রাসটির দৃশ্যপট। ইতোমধ্যেই যাত্রা শুরু করেছে গোলাম রহমান স্মৃতি পাঠাগার। গ্রামের দু-পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মাথাভাঙ্গা ও ভৈরব নদীর তীর ঘেষে গড়ে তোলা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন মিনি পার্ক। পুরো গ্রামটিই নেয়া হচ্ছে ওয়াই-হাই জোনের আওতায়। গ্রাম জুড়েই বসানো হবে বেশ কিছু সোলার ল্যাম্পপোস্ট। সোলার ল্যাম্পপোস্টের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠবে পুরো গ্রাম। এক সময়ের অবহেলিত এই গ্রামটিই হবে জেলার একমাত্র দৃষ্টিনন্দন স্মার্ট ভিলেজ। এ ছাড়া শিক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গ্রামের একমাত্র প্রাইমারি স্কুলটিও স্মার্টস্কুল হিসেবে গড়ে তুলতে নেয়া হয়েছে উদ্যোগ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান গ্রামটি পরিদর্শণ করেন। তিনি গ্রামবাসির সাথে করোনা সংক্রমন মোকাবেলায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন। অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান বলেন, অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে ছোট্ট একটি গ্রাম পাটাচোরা। সহজ সরল মানুষগুলোর মাঝে গিয়ে মনে হলো পৃথিবী কত সুন্দর। করোনার করাল থাবা স্পর্শ করতে পারেনি তাদের সরল জীবনযাত্রাকে। তাদের গ্রামবাসির চোখে রয়েছে অনেক স্বপ্ন আর প্রত্যাশার প্রতিচ্ছবি। গ্রামবাসির স্বপ্নের সাথে একাতœ হয়ে প্রকৃত অর্থে এই গ্রামটিকে স্মার্ট ভিলেজ হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের সকলের দায়িত্ব। প্রকল্পের পুরো কার্যক্রম শেষ হলে গ্রামটি পরিনত হবে শহরে। দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসবে ভ্রমন পিয়াসুরা। পাটাচোরা গ্রামের মতো পিছিয়ে পড়া গ্রামগুলো এগিয়ে নেয়ার মধ্যদিয়েই এগিয়ে যাবে দেশ। গ্রামবাসির সাথে করোনা সংক্রমন মোকাবেলায় জনসচেতনতামূলক আলোচনা এবং সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দীন, দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক শরীফুল আলম মিল্টন, পাটাচোরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলীসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। # #

Comments (0)
Add Comment