দর্শনা কামারপাড়ায় মাথাভাঙ্গা নদীর স্রোতে ভেসে গেলেন বৃদ্ধ ওয়াজেদ

সীমান্তের শূন্যরেখা হওয়ায় ফিরতে হয়েছে উদ্ধারকর্মীদের

দর্শনা অফিস: দর্শনায় মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েই কাল হলো বৃদ্ধ ওয়াজেদের। বৃদ্ধ হওয়ায় স্রোত সামলাতে না পেরেই ভেসে গেছেন ভারতের দিকে। সীমান্তের শূন্য রেখা হওয়ায় নিরাপত্তাজনিত কারণে নদীতে খোঁজাখুশি সম্ভব হয়নি। অবশেষে না খুজেই ফিরতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের।
স্থানীয়রা জানান, দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের আক্কাস ম-লের ছেলে ওয়াজেদ আলী গত সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে গোসল করতে যান গ্রামের ঘেষে বয়ে যাওয়া স্রোতশিনী মাথাভাঙ্গা নদীতে। যদিও কেউ কেউ বৃদ্ধ ওয়াজেদকে গোসল করতে নদীতে নামতে দেখেছেন, তবে সেসময় স্থানটি ছিলো নির্জন। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ওয়াজেদ আলী বাড়ি না ফেরায় পরিবার লোকজন নদীতে খোঁজাখুজি শুরু করেন। পরিবারের সদস্যরা প্রথমে ধারণা করেছিলো কোনো আত্মীয় বাড়িতে গেছেন ওয়াজেদ আলী। যে কারণে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজখবর নেয়া হলেও ফলাফল শূন্য। গতকাল মঙ্গলবার নদীর পানিতে শুরু হয় খোঁজাখুজি। ভারত-বাংলাদেশ সীমানা ঘেষে শূন্যে রেখা দিয়ে বয়ে গেছে মাথাভাঙ্গা নদী। যে কারণে নদীর ওপার খোঁজাখুজি ছিলো অসম্ভব। শেষ অবধি খবর দেয়া হয় দর্শনা ফায়ার সার্ভিসে। সাব-অফিসার হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে উদ্ধারকর্মীরা যান ঘটনাস্থলে। সীমান্ত শূন্য রেখা হওয়ায় দেখা দেয় আইনি জটিলতা। নিরাপত্তাহীন মনে করেই ফিরে আসতে হয়েছে উদ্ধারকর্মীদের। ধারণা করা হচ্ছে, ওয়াজেদ আলী বৃদ্ধ হওয়ায় নদীর স্রোত সামলাতে না পেরে পানিতে ভেসে গেছেন। তবে আসলে কি ঘটেছে ওয়াজেদ আলীর ভাগ্যে তা এখনো অনিশ্চিত।
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান কাজল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে তার উদ্ধারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

 

Comments (0)
Add Comment