টনসিল অপারেশনে গলায় গজের টুকরো রেখেই সেলাই

অসুস্থ হয়ে পড়া শিশুর বমির সাথে বেরিয়ে আসলো গজ

জীবননগর ব্যুরো: যশোরের একতা হাসপাতালে নাক-কান ও গলা বিশেষ্ণজ্ঞ চিকিৎসক ডা. সালাউদ্দিনের নিকট টনসিল অপারেশন করেছিলেন শিশু তানভির বিন রেজা (১২)। অপারেশনের পরে বাড়ি এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে রেজা। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে বিষয়টি জানালে তিনি জানান অপারেশনের পর এমন হতে পারে। পরবর্তীতে রেজার মুখ দিয়ে গ্যাজলা জাতীয় পদার্থ বের হওয়া শুরু হলে ডা. সালাউদ্দিনকে বিষয়টি জানালে তিনি জানান ভয়ের কিছু নেই ঠা-া লেগে এমন হতে পারে। এ অবস্থার মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে অসুস্থ ওই শিশুটি বমি করলে তার সাথে অপারেশনের কাজে ব্যবহৃত গজের একটি চুকরো বেরিয়ে আসে। ঘটনাটি ওই চিকিৎসককে জানালে তিনি শিশুর পিতাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিলো করে মোবাইল কেটে দেন। এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন শিশুটির পিতা প্রভাষক রেজাউল করিম শান্তি।
উথলী মহাবিদ্যালয়ের বাংলার প্রভাষক উপজেলার সুবলপুরের রেজাউল করিম শান্তি জানান, তার শিশুপুত্র তানভির বিন রেজা টনসিল জনিত রোগে আক্রান্ত হন। গত ১১ ডিসেম্বর তিনি যশোর একতা হাসপাতালে নিলে নাক-কান ও গলা রোগের চিকিৎসক ডা. সালাউদ্দিন তার টনসিল অপারেশন করেন। অপারেশনের পরের দিন হতে রেজা তার গলাতে কিছু একটি রয়েছে এমন অনুভব করতে থাকে। খাবার খেতে গেলে সে অসুবিধার মধ্যে পড়তে থাকে। বিষয়টি ডা. সালাউদ্দিনকে জানালে তিনি বলেন অপারেশনের পর অনেক রোগীর এমন সিমটম দেখা দেয়। ভয়ের কিছু নেই। ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ঠিক না হয়ে ক্রমেই সে অসুস্থ হয়ে পড়তে এবং খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিতে থাকে। এক পর্যায়ে তার মুখ দিয়ে গ্যাজলা জাতীয় পদার্থ বের হতে থাকলে পরবর্তীতেও বিষয়টি ডা. সালাউদ্দিনকে জানালে তিনি বলেন ঠা-া লেগে এমন হচ্ছে। এমন অবস্থার মধ্যে রেজা বৃহস্পতিবার সকালে বমি করলে দেখা যায় বমির সাথে অপারেশনে ব্যবহৃত গজের টুকরো বের হয়েছে। যেটি এতোদিন তার গলার ভেতর আটকে ছিলো। ঘটনাটি ডা. সালাউদ্দিনকে জানালে তিনি বলেন, ৪০ বছর ধরে অপারেশন করছি। এমন ঘটনা ঘটতেই পারে না। এ সময় তিনি তার পিতাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিলো করে ফোন রেখে দেন। ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য ডা. সালাউদ্দিনের ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার মতামত জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অপারেশনকালে ব্লিডিং বন্ধ রাখার জন্য রোগীর গলার ভেতর গজের টুকরো দেয়া হয়। যা অপারেশনের শেষে বের করে নেয়া হয়। এ কাজগুলো সহকারীরা করে থাকেন। ভুল করে হয়তো গজের টুকরোটি বের না করায় তা শিশুটির গলায় আটকে ছিলো যা বমির সাথে বের হয়ে গেছে।

Comments (0)
Add Comment