সম্রাটের সাঙ্গপাঙ্গদের গা ঢাকা : মদদদাতাদের গ্রেফতারের দাবি

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার খাড়াগোদা এলাকায় মারামারি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেফতারকৃত সম্রাটকে আদালতে থানায় সোপর্দ করেছে পুলিশ। তার গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে মদদদাতাসহ সাঙ্গপাঙ্গরা দিয়েছে গাঢাকা।

সাঙ্গপাঙ্গসহ সম্রাটের আশ্রয় প্রশ্রয়দাতাদের আইনের আওতায় আনার দাবি তুলেছে ভুক্তোভোগী মহল। সম্রাটকে রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুলিশ অনেক চাঞ্চলকর তথ্য পাবে বলে এলাকাবাসী মনে করছে।

জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের খাড়াগোদা গ্রামের মৃত আব্দুল আলিমের ছেলে সম্রাট হোসেন সমবয়সী কয়েকজনকে সাথে নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তোলে। প্রায় সময় সে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এর ওর কাছে চাঁদাদাবিসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখানো এমনকি মারধরের মতো ঘটনা ঘটিয়েই আসছিলো। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। কারণ তার মাথার ওপর আছে জনৈক বড়ভাই। তারই ধারাবাহিকতায় খাড়াগোদা বাজারের ভাঙারি ব্যবসায়ী আলামিনের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে সে। একই বাজারের ভাঙারি ব্যবসায়ী ইজাজুলের নিকট ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না পেয়ে ইজাজুলকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করে সে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ইজাজুল স¤্রাটের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে পুলিশের নিকট অভিযোগ করলে তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে দর্শনা থানায় সোপর্দ করে। এদিকে সম্রাটের গ্রেফতারে তার সাঙ্গপাঙ্গরা গা ঢাকা দিয়েছে। এলাকাবাসী অভিযোগে করে বলেন, স¤্রাটসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা এলাকার মানুষকে টাকার জন্য নানা ধরণের ভয়ভীতি দেখিয়ে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। তার মাথার ওপর জনৈক নামধারী স্থানীয় এক বড়ভাই থাকায় সম্রাট ধরাকে সরাজ্ঞান করে চলতো। এখন অনেকেই মুখ খুলতে শুরু করেছে। মদদাতাসহ বাকিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে ভুক্তোভোগীরা। বিষয়টির প্রতি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন মহল।

Comments (0)
Add Comment