দখল-দূষণ ও হানার কবলে চুয়াডাঙ্গার ভৈরব নদ

দামুড়হুদা অফিস/ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: দখল ও দূষণের কবলে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার ভৈরব নদ। এক সময়ের খরস্রোতা ভৈরবের বুকজুড়ে এখন ইরি ধানের আবাদ। সামান্য খালের মতো নদের যে ধারা বহমান ছিলো তাও দিন দিন বিলীন হতে চলেছে। এলাকার এক শ্রেণির কৃষক জোরজুলুমে ভৈরব দখল করে চলেছেন। অন্যদিকে নদের দুই পাড়ে কোথাও কোথাও ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। আর মাঝে মধ্যে মাটি খাদকদের হানাও চলে ভৈরবের দুই পাড়ে। সব মিলিয়ে ভৈরবের এখন করুণ দশা।
জানা গেছে, ভৈরব নদ ছিলো এক সময় খুবই খরস্রোতা। বিশেষ করে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার গ্রামাঞ্চলের মানুষ এই নদীযোগে নৌকায় আসা-যাওয়া করতো। বছর বিশেক আগেও নৌকায় মানুষের নিয়মিত যাওয়া-আসা ছিলো। এখন ভৈরব একেবারে চিকন নালার মতো হয়ে গেছে। উপজেলার কোমরপুর গ্রামের আখতার হোসেন জানান, ‘২০ বছর আগেও ভৈরব নদে দখলদারদের উৎপাত ছিলো। কিন্তু ইদানীং তা বেকায়দা অবস্থা ধারণ করেছে। নদীর পাড় কেটে কেটে ধানের চাষ করার ফলে তা সমতল হয়ে গেছে। নদীতে ঢালু অবস্থা নেই বললেই চলে। এ কারণে দিন দিন নদীর স্রোত একেবারে থমকে গেছে। সামান্য নালার মতো এখন পানি যায়। আবার যেখানে একটু পানি বেশি সেখানে কোমরবাঁধ দিয়ে কেউ কেউ মাছ শিকার করে। ফলে নদী আরও ভরাট হয়ে যাচ্ছে।’ বাঘাডাঙ্গা ও কোমরপুর গ্রামের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, ভৈরব নদের মাটি কেটে রাতের আঁধারে ইটভাটায় যাওয়ার ঘটনাও ঘটে থাকে প্রায়ই। এছাড়া কেউ কেউ নদের পাড়ে ময়লা-আবর্জনা ফেলেও নদে দূষণ করছে। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান বলেন ‘নদী দখল করে চাষাবাদের কোনো সুযোগ নেই। তবে যারা এ ধরনের চাষ করে থাকেন তা হয়তো সীমিত সময়ের জন্য। বর্ষায় ভৈরব নদ পানিতে ভরে যায়। তখন আর চাষের সুযোগ থাকে না। আর যারা নদীতে কোমর বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করে তাদের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।’

Comments (0)
Add Comment