টাকা নিয়ে স্ত্রী উধাও, অভিমানে বিষপানে অত্মহত্যার অপচেষ্টা স্বামীর

স্টাফ রিপোর্টার: গরুর ব্যাপারি স্বামী জাহার আলীর সাড়ে তিন লাখ টাকা নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী রুপশী খাতুন উধাও হয়েছে। মনের ঘৃণায় স্বামী শেষ পর্যন্ত নিজের জীবন প্রদীপ নিজেই নিভিয়ে দেয়ার জন্য বিষপান করেছে। সোমবার রাতে স্ত্রী ঘর ছাড়লে স্বামী পরদিন মঙ্গলবার বিষপান করে।
জাহার আলীকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এজানা যায়, গত ২১ বছর আগে সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের আড়িয়ার চকপাড়া গ্রামের খবির উদ্দিনের ছেলে জাহার আলীর সাথে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে সামেনার সাথে বিবাহ হয়। তাদের কোলজুড়ে আছে দুইটি মেয়ে সন্তান। এর মধ্যে ২০১৬ সালে পাশ্ববর্তী ছোট আড়িয়া গ্রামের মুস্তাকের মেয়ে স্বামী পরিতক্ত্যা রুপশীর সাথে জাহানা আলীর প্রেমেজ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর কয়েক মাস দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে রুপশীকে বিবাহ করে জাহান আলী। তাদের কোল জুড়ে এক মেয়ে সন্তান আসে।
হাসপাতালে জাহান আলীর শষ্যার পাশে থাকা প্রথম স্ত্রী সামেনা খাতুন বলেন, একই বাড়িতে আলাদা ঘরে আমরা থাকতাম। বেশিরভাগ সময় ছোট স্ত্রীর কাছেই থাকতেন এবং তার কাছে খাবার খেতেন জাহান আলী। বেশ কিছুদিন আগে ব্যাপারিদের নিকট তিন লাখ টাকা ধার করে কয়েকটি গরু ক্রয় করে জাহান আলী। গত সোমবার সেই গরু বিক্রয় করে সাড়ে তিন লাখ টাকা দ্বিতীয় স্ত্রী রুপশীর নিকট রাখে। ওই রাতেই সুযোগ বুঝে টাকা নিয়ে রুপশী উধাও হয়ে যায় রুপশী। রাতে অনেক খোজাখুজির করে সন্ধান পাইনি কেউ। তিনি আরও বলেন, রুপশী খাতুনের আগেও বিয়ে হয়েছিল। সে প্রতারণা করে আমার স্বামীর টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে রাতে। পরদিন সকালে বিভিন্নস্থানে খোজ খবর করেও পাওয়া যায়নি। একদিকে ব্যাপারিদের চাপ ও পাওনা টাকা ফেরত দেয়ার শোকে মান অভিমানে মঙ্গলবার সকালে বিষপান করেন জাহান আলী। বিষয়টি বুঝতে পেরে জাহান আলীকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি চিকিতসকের নিকট নেয়া হয়। সেখান থেকে পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
তিতুদহ ফাড়ি পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কুদ্দুস বলেন, গতকাল রাতে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। গরু বিক্রয়ের কিছু টাকা নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে গেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এই অভিমানে জাহান আলী গতকাল সকালে বিষপানে আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। তবে কি পরিমান টাকা নিয়ে গেছে এটা এখনো অস্পষ্ট।

Comments (0)
Add Comment