করোনায় দেশে আরও ১১ জনের মৃত্যু : শনাক্ত ১৮৬৫

স্টাফ রিপোর্টার: দেশে করোনা সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়ছে। ভাইরাসবিদ এবং রোগতত্ত্ববিদরা এটাকে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ বলে উল্লেখ করেছেন। তারা বলেছেন, বিগত ঢেউয়ের তুলনায় এবারে সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে, যা উদ্বেগজনক। সংক্রমণ রেখা সোজা উপরে উঠতে থাকলে আক্রান্তের সংখ্যা কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা ধারণা করাও কঠিন। চলতি মার্চ থেকে ১৭ দিনে দেশে করোনা সংক্রমণের তুলনামূলক চিত্র বিশ্লেষণে ভয়াবহ চিত্র ফুটেছে। দেখা গেছে ২ মার্চ শনাক্ত রোগী ছিলো ৫১৫ জন। ওই দিন মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ মার্চ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ১৮ জন, অর্থাৎ দ্বিগুণ। একইভাবে পরের এক সপ্তাহে সংক্রমণের হার আরও বেড়ে তারও প্রায় দ্বিগুণ হয়ে এক হাজার ৮৬৫ জনে উন্নীত হয়। এর আগে ১৫ ও ১৬ মার্চ নতুন আক্রান্ত রোগী সংখ্যা ছিল যথাক্রমে এক হাজার ৭৭৩ এবং এক হাজার ৭১৯ জন। এ দুদিনেই মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জন করে। ১৪ মার্চ শনাক্ত হন এক হাজার ১৫৯ জন এবং মৃত্যু হয় ১২ জনের। এছাড়া ১০, ১১, ১২, ১৩ মার্চ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিলো যথাক্রমে এক হাজার ১৮, এক হাজার ৫১, এক হাজার ৬৬ এবং এক হাজার ১৪ জন। বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লকডাউন করা হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত সরকার নেবে। তবে সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রয়েছে। তবে মানুষ যদি স্বাস্থ্যবিধি না মানে, হাসপাতালের শয্যা সংখ্যার চেয়ে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায় তাহলে চিকিৎসা দেয়া কঠিন। বুধবার রাজধানীর মহাখালীতে অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলা জনস্বাস্থ্য’ শীর্ষক অনুষ্ঠান শেষে সংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দেশে গত এক দিনে আরও এক ৮৬৫ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। দৈনিক শনাক্ত রোগীর এ সংখ্যা গত ৩ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বরের চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়। ওইদিন এক হাজার ৮৭৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিলো। বুধবার সকাল পর্যন্ত আরও এক হাজার ৮৬৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লাখ ৬২ হাজার ৭৫২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৬০৮ জন।

Comments (0)
Add Comment