মাথাভাঙ্গা মনিটর: মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার টেস্ট থেকে অবসরে ভারতীয় ক্রিকেটে আলোড়ন তুলেন এই দুই তারকা। তবে এই সিদ্ধান্তের মধ্যে আশা জাগিয়েছে ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে তাঁদের ফেরার সম্ভাবনা। যদিও এই বিশ্বকাপ এখনও দুই বছরেরও বেশি দূরে, তখন কোহলির বয়স হবে ৩৯ এবং রোহিতের ৪০। বয়স ও শারীরিক ফিটনেসের চ্যালেঞ্জ থাকলেও, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে দূরে থাকার ফলে তাঁদের একদিনের ক্রিকেটে মনোযোগ দেয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী এই পথকে সহজ ভাবছেন না। তাঁর মতে, বিশ্বকাপে খেলতে গেলে কোহলি ও রোহিতকে কঠিন পথ অতিক্রম করতে হবে। সৌরভ গাঙ্গুলী জানান, এখন থেকে বিশ্বকাপের আগে অন্তত ২৭টি ওয়ানডে ম্যাচ রয়েছে, এবং ভবিষ্যতে আরও ম্যাচ যুক্ত হতে পারে। তাই বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেতে গেলে নিয়মিত খেলেই নিজেদের প্রমাণ করতে হবে তাঁদের। পিটিআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌরভ গাঙ্গুলী বলেন, ‘এটা সহজ হবে না। বছরে অন্তত ১৫টা ম্যাচ খেলতে হবে। আমি কোনও পরামর্শ দিচ্ছি না, কারণ ওরা নিজেরাই খেলার সবকিছু বোঝে। তবে একটা সময় খেলা ওদের কাছ থেকে সরে যাবে। এটা সবাইকে মেনে নিতে হবে।’ তবে এখনও পর্যন্ত কোহলি ও রোহিত ওয়ানডে ক্রিকেটে বড় নাম। সদ্য শেষ হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোহলি ৫৪.৮০ গড়ে ২১৮ রান করেছেন, একটি সেঞ্চুরি ও একটি ফিফটির সাহায্যে ভারতের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন। রোহিতও ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৭৬ রানের ইনিংস সহ ১৮০ রান করে দলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আইপিএলে তাঁদের অংশগ্রহণ নিয়মিত খেলার মধ্যে থাকার সুযোগ করে দিচ্ছে। যদিও এটি সরাসরি ওয়ানডে পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলে না, তবুও শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। টেস্ট থেকে তাঁদের অবসরকে অনেকেই ইতিবাচকভাবে দেখছেন। বয়সের কারণে দুই ফরম্যাট চালিয়ে যাওয়া চাপের ছিল, এবং দীর্ঘ ফরম্যাট থেকে সরে এসে তাঁরা এখন একমাত্র লক্ষ্য রাখতে পারেন ২০২৭ বিশ্বকাপে।