প্রথমবার এসেই আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট

মাথাভাঙ্গা মনিটর:  আইপিএলে নিজেদের অভিষেক আসরেই বাজিমাত করল গুজরাট টাইটান্স। প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েই শিরোপা জিতেছে দলটি। রোববার আইপিএলের ফাইনালে রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা উল্লাসে মাতে নবাগত দলটি। ১৪ বছর পর শিরোপা স্পর্শের সুযোগ এলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি রাজস্থান রয়্যালস। রাউন্ড রবিন লিগ পর্বে সবার উপরে থেকে খেলা শেষ করেছিল গুজরাট। দ্বিতীয় স্থানে ছিল রাজস্থান। ফাইনালও হলো দুই দলের মধ্যে। প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে এই রাজস্থানকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় হার্দিক পান্ডিয়ারা। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও তারা রাখে সাফল্যের স্বাক্ষর।

আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩০ রান করে রাজস্থান। জবাবে শুরুতে বিপাকে পড়লেও ঠিকই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় গুজরাট। ১১ বল হাতে রেখে, ৩ উইকেট হারিয়ে।

সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় গুজরাট টাইটান্স। দলীয় ৯ রানে ফেরেন ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর বলে তিনি হন বোল্ড। সাত বলে এক চারে তিনি করেন মাত্র ৫ রান। শুরুর বিপর্যয় কাটতে না কাটতে আবার দ্বিতীয় উইকেটের পতন।

দলীয় ২৩ রানে ফেরেন ওয়ান ডাউনে নামা অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু ওয়েড। বোল্টের বলে পরাগের হাতে ক্যাচ দেন ১০ বলে ৮ রান করা ওয়েড। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন সুবমান গিল ও অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। দলীয় ৮৬ রানের মাথায় এই জুটি বিচ্ছিন্ন করেন চাহাল। আউট করেন ৩০ বলে ৩৪ রান করা হার্দিককে। তিন চারের পাশাপাশি হার্দিক হাঁকান এক ছক্কা।

এরপর ডেভিড মিলারকে সাথে নিয়ে আগাতে থাকেন সুবমান গিল। গিল একটু দেখেশুনে খেললেও মিলার ছিলেন তার মতোই। এই দু’জনের ব্যাটেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় গুজরাট। শিরোপা আনন্দে মাতে গোটা দল।

১৯ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার। ৪৩ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৪৫ রানে নট আউট সুবমান গিল।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি রাজস্থান রয়্যালস। শুরুটা ভালো হলেও আস্তে আস্তে কমে যায় ব্যাটারদের ব্যাটের ধার। দুই ওপেনার ইয়াশভি জয়সাল ও জস বাটলারের ব্যাটেই আসে সর্বোচ্চ রান।

৩৫ বলে পাঁচ চারে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন বাটলার। জয়সাল করেন ১৬ বলে এক চার ও দুই ছক্কায় ২২ রান। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন জ্বলে উঠতে পারেননি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে। ১১ বলে দুই চারে ১৪ রান করেন তিনি।

দেবদূত পাডিকলা (১০ বলে ২ রান) ছিলেন টেস্ট মেজাজে। হার্ড হিটার শিমরন হেটমায়ার ১২ বলে ফেরেন ১১ রান করে। ১৫ বলে ১৫ রান করেন রায়ান পরাগ। সাত বলে ১১ রান করেন পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। ২০ ওভারে ৯ উইকটে রাজস্থানের রান দাঁড়ায় ১৩০।

বল হাতে চার ওভারে ১৭ রানে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন গুজরাটের হার্দিক পান্ডিয়া। কিশোর দুটি, শামি, ইয়াশ দয়াল, রশিদ খান একটি করে উইকেট নেন। ৪ ওভারে ১৭ রান দেন রশিদ খান।

Comments (0)
Add Comment