বল-বিতর্কে চটেছে ভারত, বিচার দিল আইসিসির কাছে

স্টাফ রিপোর্টার:ভারত ও ইংল্যান্ডের চলমান টেস্ট সিরিজে আলোচনার কেন্দ্রে ডিউক বল। দুই দলের খেলোয়াড়রাই অভিযোগ তুলেছেন, বল খুব দ্রুত নরম হয়ে যাচ্ছে। লর্ডস টেস্টের তৃতীয় দিনে সকালেই দুইবার বল বদলানো হয়েছে। সেই নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক।

এই ঘটনার পর বল বদলের নিয়ম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ভারতীয় দল। তারা বিষয়টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নজরে এনেছে। ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বল পরিবর্তনের সময় ১০ ওভারের মতো পুরনো একটি বল বদলে আম্পায়াররা ৩০-৩৫ ওভারের পুরনো বল দিয়েছিলেন।

‘নিয়ম অনুযায়ী, যেটা বল বদলানো হয় সেটা আগের বলের সমান পুরনো হওয়া উচিত। কিন্তু আম্পায়াররা তখন বলেছিলেন, স্টকে এমন কোনো বল নেই যা ১০ ওভারের পুরনো’ –সংবাদমাধ্যমটিকে এমনটাই জানিয়েছে বিসিসিআই-এর এক কর্মকর্তা।

তিনি আরও বলেন, ‘লর্ডসে বল ১০ ওভারের মধ্যেই আকার হারিয়ে ফেলেছিল। এটা এই সিরিজে বারবারই ঘটছে। আম্পায়ারদের রিং দিয়ে চেক করার পর দেখা যায়, বলটা গোলাকার থাকেনি। কিন্তু তারা তখন আমাদের জানায়নি যে ১০ ওভারের সমান পুরনো বল নেই। ওই সময় তারা আমাদের যে বল দিয়েছিল সেটা ৩০-৩৫ ওভারের পুরনো ছিল।’

বিসিসিআই কর্মকর্তা বলেন, ‘যখন বল বদল চাই, তখন বলা হয় না, নতুন যে বলটা আসবে সেটা কত ওভারের পুরনো। যদি জানতাম যে ওটা ৩০-৩৫ ওভারের পুরনো, তাহলে আমরা আগের বিকৃত বলই চালিয়ে যেতাম। আইসিসিকে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হবে। নিয়মটা বদলাতে হবে।’

এই বল বিতর্কে ম্যাচে ভারতের ক্ষতির কথাও বলা হয়েছে। ওই ম্যাচে ভারত হেরেছে ২২ রানে।

ইএসপিএনক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় নতুন বল গড়ে ১.৮৬৯ ডিগ্রি সুইং ও ০.৫৭৯ ডিগ্রি সিম করেছে। আর যেটা বল বদলানো হয়েছে, সেটি গড়ে সুইং করেছে মাত্র ০.৮৫৫ ডিগ্রি, সিম করেছে ০.৫৯৪ ডিগ্রি। বল বদলের এই বিতর্কে আইসিসি এখন কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটিই দেখার বিষয়।