স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপ। এই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি হিসেবে আরব আমিরাত আয়োজন করছে একটি ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ, যেখানে অংশ নেবে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও স্বাগতিক আরব আমিরাত। ২৯ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শারজায় অনুষ্ঠিত হবে এই সিরিজের সাতটি ম্যাচ, ফাইনালসহ। এশিয়া কাপের আগে এই সিরিজ দলগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতির সুযোগ হতে পারত। যেখানে বাংলাদেশেরও থাকার কথা ছিল। কিন্তু ক্রিকেট কূটনীতিতে পিছিয়ে থাকায় এই সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রধান মহসিন নাকভির সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সুসম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি নাকভির অনুরোধে ভারতের সমালোচনার ঝুঁকি নিয়েও ঢাকায় এসিসির বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন করে বিসিবি। এই সুসম্পর্কের সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিসিবি যদি ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নেওয়ার উদ্যোগ নিত, তাহলে আরব আমিরাতের পরিবর্তে বাংলাদেশ হতে পারত এই সিরিজের তৃতীয় দল। ফলে লিটন দাসদের পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে অন্তত দুটি করে ম্যাচ খেলে আমিরাতের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ হতো, যা এশিয়া কাপের জন্য আদর্শ প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচিত হতো। কিন্তু বিসিবি এই পথে না হেঁটে ঘরের মাঠে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজনে মনোযোগ দিয়েছে। এই সিরিজ এশিয়া কাপের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তেমন কার্যকর নয়। প্রাথমিকভাবে পাকিস্তানের আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা ছিল আমিরাতে। যেখানে স্বাগতিকদের যুক্ত করে ত্রিদেশীয় সিরিজে রূপ নিয়েছে। বিসিবি সময়মতো উদ্যোগ নিলে এই সিরিজে বাংলাদেশের জায়গা হওয়া অসম্ভব ছিল না। এশিয়া কাপের মতো বড় টুর্নামেন্টের আগে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার সুযোগ বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারত। এখন প্রত্যাশা, ভবিষ্যতে বিসিবি এমন সুযোগ হাতছাড়া না করে ক্রিকেট কূটনীতিতে আরও দক্ষতার পরিচয় দেবে।