ক্ষণে ক্ষণে রং বদলানো ম্যাচ ও সিরিজের ভাগ্য দুলছিল পেন্ডুলামের মতো। অবিশ্বাস্য নাটকীয়তার পর শেষ পর্যন্ত দ্য ওভাল টেস্টে ইংল্যান্ডকে ছয় রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের অবিস্মরণীয় সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ করেছে ভারত।
আগেরদিন হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ মুঠোয় জমিয়েও বাউন্ডারি লাইনে পা ঠেকিয়ে ফেলা মোহাম্মদ সিরাজ সোমবার শেষদিনে আগুনে বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের মুঠো থেকে জয় ছিনিয়ে সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করলেন। সিরাজই হয়েছেন ম্যাচসেরা। যৌথভাবে সিরিজসেরা ভারত অধিনায়ক শুবমান গিল ও ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুক। অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফির লড়াই সমতায় শেষ হলেও সেরাদের অনুভূতির স্বাদ ভিন্ন।
মোহাম্মদ সিরাজ, ম্যাচসেরা
আমি ভীষণ খুশি। পরিকল্পনা ছিল অনেক কিছুর চেষ্টা না করে একই জায়গায় বল করে যাওয়া। আজ (সোমবার) ঘুম থেকে ওঠার পর মনে হয়েছে দলকে জেতাতে পারব আমি। গুগল থেকে একটি ছবি ফোনে ডাউনলোড করেছি, যেখানে লেখা বিলিভ। … লর্ডসে হৃদয় ভাঙার পর জাদেজা ভাই বলেছিলেন, নিজের শক্তির ওপর আস্থা রেখে বাবাকে স্মরণে রাখতে এবং তার জন্য খেলতে।
হ্যারি ব্রুক, সিরিজসেরা
জয়ের বিশ্বাস নিয়েই সকালটা শুরু করেছিলাম। ক্রিজে ভালো দুজন ব্যাটার ছিল। ভেবেছিলাম, উইকেট একটু ব্যাটিং সহায়ক হবে। আমরা সহজে জিতে যাব। কিন্তু সিরাজের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে সেটা হয়নি। প্রশংসা সিরাজের প্রাপ্য। পাঁচ টেস্টেই সে ছিল দুর্দান্ত। … শেষটা আমরা জয় দিয়ে করতে না পারলেও টেস্ট ক্রিকেটের দারুণ এক বিজ্ঞাপন হয়ে থাকবে এই সিরিজ। আশা করি, টেস্ট দেখা চালিয়ে যাবে মানুষ।
শুবমান গিল, ভারত অধিনায়ক ও সিরিজসেরা
পুরো সিরিজে দুদল যেভাবে নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলেছে, সেটা মাইলফলক হয়ে থাকবে। চতুর্থদিন শেষেও বোঝা যায়নি, শেষ পর্যন্ত কারা জিতবে। শেষ ম্যাচটা এভাবে জিতে সমতায় সিরিজ শেষ করতে পেরে খুবই খুশি। দলে সিরাজ ও প্রসিধের মতো ভালো বোলার থাকলে অধিনায়কত্ব সহজ হয়ে যায়। সব চাপ সামলে তারা বলকে দিয়ে কথা বলিয়েছে।
বেন স্টোকস, ইংল্যান্ড অধিনায়ক
পাঁচটি ম্যাচই পঞ্চমদিনে গড়ানোর মানে, পুরো সিরিজে দুদলের প্রচেষ্টা কতটা অসাধারণ ছিল। এমন একটি সিরিজের অংশ হতে পারাটাও বড় প্রাপ্তি। শেষ ম্যাচে একেবারে কাছে গিয়েও জিততে না পারায় অবশ্যই আমি হতাশ। একই সঙ্গে নিজেদের নিংড়ে দেওয়ায় দল নিয়ে আমি গর্বিত। সিরিজ জিততে পারলে আরও ভালো লাগত। তবে ওকসের এক হাতের লড়াইয়ের পর কোনো অভিযোগ করতে পারি না আমি।