সেই আল-হিলালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স

ম্যাচটা ছিল দুই জায়ান্ট কিলারের। আল হিলাল ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে এসেছিল রিয়াল মাদ্রিদকে রুখে দিয়ে, শেষ ষোলোয় ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে। ওদিকে ফ্লুমিনেন্স চমকে দিয়েছিল শেষ দুই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালিস্ট বরুসিয়া ডর্টমুন্ড আর ইন্টার মিলানকে। সে লড়াইটা বেশ জমেই উঠেছিল ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ আটে। শেষমেশ শেষ হাসিটা ব্রাজিলের দলটাই হেসেছে। ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে সৌদি আরবের আল হিলালকে। এর মধ্য দিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছেছে রিওর এই ক্লাব।

প্রথমার্ধে ৪০তম মিনিটে মাতেউস মার্তিনেল্লির চমৎকার বাঁ-পায়ের শটে এগিয়ে যায় ফ্লুমিনেন্স। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটেই আল হিলালের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্কোস লিওনার্দো সমতা আনেন। এরপর বদলি খেলোয়াড় হেরকিউলিস দারুণ এক গোলে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করেন।

অরল্যান্ডোর ক্যাম্পিং ওয়ার্ল্ড স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ডিয়েগো জোটা ও তার ভাই আন্দ্রে সিলভার স্মরণে। আল হিলালের একাদশে ছিলেন জোটার পর্তুগাল সতীর্থ রুবেন নেভেস ও জোয়াও কানসেলো, তারা এক পর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

মাঠের খেলায় অবশ্য প্রথমার্ধে খুব বেশি সুযোগ তৈরি হয়নি। তবে ৪৪ বছর বয়সী ফ্লুমিনেন্স গোলরক্ষক ফাবিওর অসাধারণ সেভ আল হিলালের কালিদু কুলিবালির হেড থেকে দলকে বাঁচায়। প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা আল হিলাল দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণাত্মক খেলে ৫১তম মিনিটে সমতা ফেরায়, নেভেসের কর্নার থেকে কুলিবালির হেডে বল পেয়ে কাছ থেকে গোল করেন মার্কোস লিওনার্দো।

এক পর্যায়ে ডাচ রেফারি ড্যানি মাক্কেলি পেনাল্টি দিয়েছিলেন আল হিলালকে, কিন্তু ভিএআরের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে পেনাল্টি বাতিল করেন। ৭০তম মিনিটে হেরকিউলিসের শট প্রতিহত হলেও বল পেয়ে স্যামুয়েলের হেডে দারুণভাবে বক্সে ঢুকে আবার শট নেন হেরকিউলিস, যা আল হিলালের গোলরক্ষক ইয়াসিন বনোর জাল কাঁপায়।

শেষ মুহূর্তে একের পর এক কর্নার ও আক্রমণ চালিয়েও সমতা ফেরাতে পারেনি আল হিলাল। গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থেকে ম্যানচেস্টার সিটিকে হারানো দলটি শেষ আট থেকে বিদায় নেয়। ফ্লুমিনেন্স চলে যায় সেমিফাইনালে।