হ্যান্ডশেক’ বিতর্ক উস্কে দিলেন গম্ভীর

স্টাফ রিপোর্টার:সাতজন বোলার ব্যবহার করেছিলেন বেন স্টোকস। লাভ হয়নি এতটুকুও। হারের শঙ্কায় পড়া ভারত তিন সেঞ্চুরিতে বাঁচিয়ে নেয় ম্যানচেস্টার টেস্ট। ওইদিন বিকালে এক কাণ্ড করে বসেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। টেস্ট ড্র মানাতে হ্যান্ডশেক করতে এসেই পড়েন বিপত্তিতে। সেটিই এখন বিতর্ক। যার ডালপালা ছড়িয়েছে বহুদূর।

অবস্থান অবশ্য খোলাশা করেছেন স্টোকস, ‘ওয়ার্ক লোড কমাতেই হাত মেলাতে চেয়েছিলাম।’ কিন্তু সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা রবীন্দ্র জাদেজা ও ওয়াশিংটন সুন্দর সিদ্ধান্ত মেনে নেননি। পরে দুজনেই হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। টেস্টের ফল ড্রতেই থেমেছে। হ্যান্ডশেক বিতর্ক থামেনি। ভারতের কোচ তো সরাসরি বলেই দিয়েছেন, ‘খুশি করতে আসিনি।’

‘দুইজন ব্যাটার যদি ৯০ আর ৮৫ রানে ব্যাটিং করেন, তা হলে তারা সেঞ্চুরি করার যোগ্য দাবিদার নন? নিজেদের ক্রিকেটাররা এমন অবস্থায় থাকলে ইংল্যান্ড কি ম্যাচ ড্র করায় সম্মতি দিত? কখনওই না।’

ম্যানচেস্টারে ফল ঝুলে এসেছিল ইংল্যান্ডের পক্ষে। পাহাড়সম রান করে ভারতকে বেশ চাপেও ফেলে দিয়েছিল ইংলিশরা। তবে শুরুতেই দুই উইকেট হারানো দল ঘুরে দাড়ায়। শেষ দুদিনে তিনটি সেঞ্চুরি এনে টেস্ট বাঁচায় ভারত। পঞ্চম দিনে জাদেজা-ওয়াশিংটন জুটি যখন গলার কাটা হয়ে বিঁধছিল, তখন টেস্ট ড্র করার কথা বলেন স্টোকস। বিষয়টি মানেননি দুই ভারতীয়। সেটি আবার ইংল্যান্ডের পছন্দ হয়নি। সেই নিয়েই বিতর্ক।

পাল্টা প্রশ্ন তুলে ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর উস্কে দিয়েছেন বিতর্ক, ‘দুইজন ব্যাটার যদি ৯০ আর ৮৫ রানে ব্যাটিং করেন, তা হলে তারা সেঞ্চুরি করার যোগ্য দাবিদার নন? নিজেদের ক্রিকেটাররা এমন অবস্থায় থাকলে ইংল্যান্ড কি ম্যাচ ড্র করায় সম্মতি দিত? কখনওই না। আমাদের প্লেয়াররা ঝড়ঝাপটা সামলেছে। ওরা এই সেঞ্চুরির যোগ্য দাবিদার। এখানে কাউকে খুশি করতে আসিনি।’

জাডেজা-ওয়াশিংটনের পাশে দাঁড়িয়েছেন ভারতের অধিনায়ক গিলও, ‘এটা পুরোপুরি ওদের সিদ্ধান্ত ছিল। দুজনেই লড়াই করেছে। ভালো ব্যাটিং করেছে। তাই সেঞ্চুরির দাবিদার ছিল।’

তবে বিষয়টিকে এমনভাবে দেখতে চান না স্টোকস, তার ইচ্ছা ছিল ওয়ার্ক লোড কমানো, ‘যতক্ষণ দেখেছিলাম ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা রয়েছে, প্রধান বোলারদের দিয়ে বোলিং করিয়েছি। কিন্তু যখন দেখলাম ড্র ছাড়া অন্য ফল হবে না, তখন ওয়ার্কলোড কমানোর জন্য ওই প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তাই যখন শেষ ১৫ ওভারের খেলা বাকি ছিল, হাত মেলাতে গিয়েছিলাম।’