অংশগ্রহণমূলক আর নিরপেক্ষ নির্বাচন এক নয়: ইসি সচিব

স্টাফ রিপোর্টার: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়িত্ব নিরপেক্ষ নির্বাচন করা। নির্বাচনে যদি কেউ না আসে, তাতে নির্বাচন কমিশনের কিছু করণীয় নেই। নির্বাচনে আসা না আসার বিষয়ে রাজনৈতিক দলের একটি কৌশল হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব (সিনিয়র সচিব) মো. আলমগীর। ‘নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি’ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের এমন অভিযোগের জবাবে সিনিয়র সচিব বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আর নিরপেক্ষ নির্বাচন ভিন্ন বিষয়। ইসির দায়িত্ব নিরপেক্ষ নির্বাচন করা। শনিবার পৌরসভার দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রেস বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। দ্বিতীয় ধাপের ৬০টি পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে দাবি করে ইসি সচিব বলেন, এ ধাপে ইভিএম ও ব্যালটে গড়ে ৬০-৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে। দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, সারা দেশে দু’য়েকটি কেন্দ্রে সহিংসতার তথ্য পেয়েছি, যেখানে ভোট হয়েছে ৬৫০টি কেন্দ্রে। এই সহিংসতা বড় কিছুই নয়। দেশের সব নির্বাচনেই কমবেশি সহিংসতা হয় বলেও মন্তব্য করেন ইসি সচিব। তিনি বলেন, নির্বাচনে বিঘœ ঘটানোর প্রচেষ্টায় কিছু কিছু এলাকায় দুষ্কৃতিকারী থাকে। কিন্তু তাদের এই প্রচেষ্টা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিহত করেছে। নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার সুযোগ তাদের দেয়া হয়নি। ইসি সচিব বলেন, ৬০টি পৌরসভার মধ্যে রাজশাহীর বোয়ালমারী পৌরসভার একটি কেন্দ্রে দুষ্কৃতকারীরা ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা ব্যালট পেপার নিয়ে যেতে পারেনি। তবে ব্যালট বাক্স যেহেতু ভেঙে গেছে প্রিসাইডিং অফিসার ওই নির্বাচনী কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছেন। কিশোরগঞ্জেও একটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছিলো সেটাকেও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ৬০টি পৌরসভার সব কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন হয়েছে।

Comments (0)
Add Comment