আকাশে মেঘ জমলেও বৃষ্টির আভাস দিচ্ছে না আবহাওয়া দপ্তর

 

স্টাফ রিপোর্টার: পঞ্জিকার হিসাবে ফাগুন আসতে আরও কয়েকদিন বাকি; তবে প্রকৃতিতে বসন্তের হাওয়ার অনুভূতি টের পাওয়া যাচ্ছে, পাতা ঝরার দিন শুরু হয়ে গেছে। মাঘের শেষ সময়ে এসে শীতের আমেজ এখন মিলছে শুধু ভোরে ও সন্ধ্যায়। তবে দিনভর গরমের তেজও বাড়ছে। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে মেঘ করেছে আকাশে, দিনের বড় একটা সময় ছিল মেঘলা। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নিকলীতে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মোংলায় ৩১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবারের মত বুধবারও ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদ শরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, “আকাশে কিছু মেঘ থাকলেও এর কারণে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হবে না। বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম।” তিনি বলেন, “বর্ষাকালে যেমন প্রতিদিন বৃষ্টি হয় না, শীতেও তেমনি প্রতিদিন কুয়াশা হয় না। কুয়াশা হওয়ার জন্য যেসব বৈশিষ্ট্য জলবায়ুতে থাকা লাগে সেগুলো থাকলেই কেবল কুয়াশা হয়। “কুয়াশার একটা কারণ খুব অল্প বাতাস, দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে এখন কিছু বায়ু আসছে। যার কারণে সাগর থেকে কিছু জলীয় বাষ্প আসছে। দেশ ছোট, উপকূল কাছাকাছি-এ কারণে কুয়াশা হচ্ছে। এটা তেমন কিছু না, স্বাভাবিক কুয়াশাই।” আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকা ও দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

Comments (0)
Add Comment