ইউএনও’র ওপর হামলার ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি: এসপি

স্টাফ রিপোর্টার: দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার মামলায় আমরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। আমরা এ বিষয়ে অনেকদূর এগিয়েছি। আগামী ২-১ দিনের মধ্যেই একটা ভালো রেজাল্ট উপহার দিতে পারবো বলে আশা করছি।

দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, শুক্রবার ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে দিনাজপুর পুলিশ লাইনে আনা হয়েছে। সেখানে নতুন ওসির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে রংপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিমউদ্দীনকে।

তিনি জানান, ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার পিতার ওপর হামলা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়নি। হামলা ঘটনার সঙ্গে ওসি আমিরুল ইসলামের প্রত্যাহারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। চাকরির স্বাভাবিক নিয়মেই তাকে ঘোড়াঘাট থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এদিকে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার পিতা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামি রংমিস্ত্রি নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমার দাসকে ৭ দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেনকে আদালতে সোপর্দ করে দিনাজপুর ডিবি পুলিশ। রিমান্ড শেষে তাদের কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি বা নতুন করে কোনো রিমান্ড আবেদন করা হয়নি।

দিনাজপুরের কোর্ট পরিদর্শক মো. ইসরাইল হোসেন জানান, আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পক্ষ থেকে নতুন করে রিমান্ড আবেদন না করায় তাদের দুজনকেই জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিনাজপুর ডিবি পুলিশের ওসি ইমাম জাফর সাংবাদিকদের জানান, এ মামলায় গ্রেফতারকৃত তিন আসামির মধ্যে নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমার দাসের ৭ দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ায় আদালতে তাদের দুজনকে সোপর্দ করা হয়েছে। অপর আসামি আসাদুল ইসলামের ৭ দিনের রিমান্ড শনিবার শেষ হবে এবং শনিবারই তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। রিমান্ডে তাদের কাছ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে কি-না এবং মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে কিছু জানাননি তিনি।

উল্লেখ্য, ২ সেপ্টেম্বর রাতে সরকারি বাসভবনে ঢুকে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে নির্মমভাবে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা।

 

Comments (0)
Add Comment