‘এই সময়’কে এই ধরনের কোনো কথা বলিনি: মির্জা ফখরুল

‘বিএনপি-জামায়াতকে ভারত কেন এক বন্ধনীতে রাখছে’, প্রশ্ন মির্জার শিরোনামে সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘এই সময়’। সংবাদে আরও বলা হয়েছে, ‘৩০টি আসন না দেওয়ায় পিআর নিয়ে বিএনপির ওপর চাপ সৃষ্টি করছে জামায়াত।’ এ নিয়ে রাজনৈতিক মহল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। জামায়াতকে জড়িয়ে বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ায় দল থেকে এর প্রতিবাদও জানানো হয়েছে। তবে উল্লিখিত বক্তব্য দেননি বলে দাবি করেছেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ওই নিউজটা ফেক নিউজ। ওরা (পত্রিকাটি) আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) দিয়ে এই মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর সংবাদ দিয়েছে। কোনো রাজনৈতিক নেতা এরকম অবান্তর কথা বলতে পারেন না। এটা উদ্দেশ্যমূলক। কলকাতার ‘এই সময়’কে আমি এই ধরনের কোনো কথা বলিনি।

মঙ্গলবার বিকালে গণমাধ্যমে মির্জা ফখরুল জানান, ‘এই সময়’ পত্রিকাটির সঙ্গে কথা বললেও সাক্ষাৎকার দেননি। জামায়াতে ইসলামীর ৩০টি আসন চাওয়ার বিষয়ে কোনো কথাও তিনি বলেননি।

আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কি না-জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের ব্যাপারে তো আমরা আগেই বলেছি।

মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের নিন্দায় জামায়াত : এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে জামায়াত নিয়ে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যকে ‘অসত্য ও প্রতিহিংসাপরায়ণ’ উল্লেখ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি ভারতের কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ‘এই সময়’-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন, এর প্রতি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ধরনের সম্পূর্ণ অসত্য, অমর্যাদাকর ও প্রতিহিংসাপরায়ণ বক্তব্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতো প্রবীণ রাজনীতিক দিয়েছেন, তা বিশ্বাস করতে আমাদের কষ্ট হয়। এ বক্তব্যের সঙ্গে সত্য ও শিষ্টাচারের কোনো মিল নেই। যদি এ বক্তব্য তার হয়ে থাকে, তবে বাধ্য হয়ে আমরা এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি এই বক্তব্য যদি তার না হয়ে থাকে, তাহলে জামায়াতে ইসলামী কার কাছে এই আসনগুলো দাবি করেছে, এর প্রমাণ জাতির কাছে উপস্থাপন করার আহ্বান জানাচ্ছি।

আরও বলা হয়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী স্বাভাবিকভাবে তার মূল নেতৃত্বের অধীনে পরিচালিত হয়। কারও কাছে আসন চাওয়ার রাজনীতির সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান সময়ে দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি যদি তার বক্তব্যের পক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে আমরা আহ্বান জানাব সত্যকে মেনে নিয়ে তিনি তার বক্তব্যের জন্য ন্যূনতম পক্ষে জনগণের সামনে দুঃখপ্রকাশ করবেন।

ভবিষ্যতে এ ধরনের অসত্য ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য ওই বিবৃতিতে আহ্বান জানানো হয়।