স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রাণহানি মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক। এই মুহূর্তে আমাদের প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য ও সংহতি। মানবিক বিপর্যয়ের সময় এখন রাজনৈতিক চর্চা পরিহার করে আমাদের উচিত মানবিকতা প্রদর্শন করা।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে হাওলাদার টাওয়ারে জাতীয় পার্টি আয়োজিত এক মিলাদ মাহফিল পূর্বক আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর হতাহতের ঘটনায় রাষ্ট্রীয় শোকের অংশ হিসাবে এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এ সময় ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে স্কুলের অসংখ্য কোমলমতি শিক্ষার্থী জীবন দিয়েছে। আর অগণিত শিক্ষার্থী অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। এই মুহূর্তে তাদের সুচিকিৎসা দরকার। আমি আশা করব, রাষ্ট্র তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করবে। একই সঙ্গে যারা এই দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত হয়েছেন সরকারের পক্ষ থেকে তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য দাবি জানান ব্যারিস্টার মাহমুদ।
আলোচনায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আমাদের সবার উচিত এখন হাসপাতাল এড়িয়ে চলা। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, চিকিৎসকরা বারণ করার পরও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ হাসপাতালে ভিড় করছে। এতে করে বিমান দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকা বাচ্চাগুলোর ইনফেকশন হয়ে জীবনহানির শঙ্কা বেড়ে যেতে পারে।
হাওলাদার বলেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। সরকার ও সশস্ত্র বাহিনীর উচিত, যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের তালিকা প্রকাশ করা। একই সঙ্গে যারা আহত হয়েছেন তাদেরও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা জরুরি।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেটি অনেক পুরনো। এ ধরনের ঘটনা আরো বেশ কয়েকবার ঘটেছে। আমি সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানাবো, যে প্রশিক্ষণ বিমানগুলো আমরা ব্যবহার করছি, এখন সেই বিমানগুলো ব্যবহার উপযোগী কিনা তা ভেবে দেখার। একইসঙ্গে রাজধানী ঢাকার মতো জনবহুল এলাকায় বিমান প্রশিক্ষণ আদৌ কতটুকু যৌক্তিক তা নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এসেছে।
এছাড়া এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করার জন্য সরকার ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে আরো অংশগ্রহণ করেন সাবেক এমপি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, জাতীয় পার্টির নেতা সাহিদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সাবেক এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, নাসরিন জাহান রতনা, নাজমা আক্তার, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, মাসরুর মওলা, মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. আরিফুর রহমান খান, সরদার শাহজাহান, হারুন আর রশীদ, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, আমানত হোসেন আমানত, শফিকুল ইসলাম শফিক, মো. বেলাল হোসেন, ফখরুল আহসান শাহজাদা, সেকান্দার আলী সেরনিয়াবাত, শারমিন পারভীন লিজা,আনিসুর রহমান বাবু, মাশুক আহমেদ,শাহনাজ পারভীন, শারফুদ্দিন আহমেদ শিপু।