এনসিপির ৪ দফা দাবি প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিসিএস চাকরিপ্রার্থীদের স্বচ্ছ ও দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়ার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার:জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিসিএস চাকরিপ্রার্থীদের জন্য চারটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি উপস্থাপন করেছে। ২০২৫ সালের ২২ অক্টোবর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদল বিসিএস নিয়োগ প্রক্রিয়ার উন্নয়ন ও দ্রুতায়নের জন্য বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেছে।

বিসিএস নিয়োগে ‘নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ বিধিমালা’ সংশোধনের দাবি

এনসিপির প্রধান দাবি হিসেবে উঠে এসেছে ‘নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) (সংশোধন) বিধিমালা, ২০২৫’ পদক্ষেপ অবিলম্বে গেজেট আকারে প্রকাশ করার। ২০২৩ সালের সংশোধিত নন-ক্যাডার বিধি দ্রুত অনুমোদন পেলে নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ এবং দ্রুততর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে করে নিয়োগ প্রার্থীরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষার ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন।

চলমান বিসিএস থেকে নন-ক্যাডার পদে সুপারিশ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার অনুরোধ

এনসিপি দাবি করেছে যে, ৪৪, ৪৫, ৪৬ ও ৪৭তম বিসিএস থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক নন-ক্যাডার পদে সুপারিশের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হোক। এটি নিয়োগ প্রার্থীদের মধ্যে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করবে এবং সরকারি কর্মসংস্থান প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে।

৪৪তম বিসিএস পুনর্মূল্যায়ন বিধি দ্রুত গেজেট প্রকাশের গুরুত্ব

৪৪তম বিসিএস সংশোধিত পুনর্মূল্যায়ন বিধির দ্রুত গেজেট প্রকাশের জন্য প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষর প্রয়োজন। এনসিপি আশা করছে বর্তমান সরকারের আমলে এই পদক্ষেপ সম্পন্ন হবে, যা সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করবে।

৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীদের দ্রুত সুপারিশ কার্যক্রম

এনসিপি আরও দাবি করেছে যে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ত্বরান্বিতভাবে পিএসসির মাধ্যমে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীদের জন্য যথাযথ পদে সুপারিশ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। এতে প্রার্থীরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা না করে দ্রুত নিয়োগ পাবে।
প্রেক্ষাপট ও বিশ্লেষণ

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও দফতরে বিসিএস নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নানা জটিলতা ও বিলম্বের অভিযোগ রয়েছে। এই ধরণের দাবি গুলো নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এনসিপির এই পদক্ষেপ চাকরিপ্রার্থীদের জন্য আশার সঞ্চার করবে এবং সরকারি নিয়োগ ব্যবস্থায় পরিবর্তনের পথ সুগম করবে।

এর পাশাপাশি, দেশের যুবসমাজের মধ্যে স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এনসিপির দাবিগুলো যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে তা তরুণ প্রজন্মের জন্য চাকরির বাজারে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং দীর্ঘদিন ধরে চলমান অনিশ্চয়তা ও হতাশার অবসান ঘটাবে।

পাঠকের জন্য গুরুত্ব

বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া হাজার হাজার তরুণের জীবনের এক বড় অধ্যায় নিয়োগ প্রক্রিয়া। নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও দ্রুততা তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। এনসিপির এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন হলে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য চাকরি পাওয়ার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং সরকারি চাকরিতে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হবে।