এবার বাড়তে পারে বিদ্যুতের দাম

স্টাফ রিপোর্টার: এক সপ্তাহ আগেই দেশে বেড়েছে জ্বালানি তেল, এলপিজি এবং অটোগ্যাসের দাম। এবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল এবং গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেড়েছে খরচ। তাতে বাড়ছে সরকারের ভর্তুকি। এ অবস্থায় সরকার কতটুকু ভর্তুকি দেবে আর দাম কতটুকু বাড়ানো হবে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) আলোচনা চলছে। প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পিডিবির একজন প্রকৌশলী বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়বে কি না সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। চাইলে সরকার ভর্তুকি দিতে পারে, আবার দাম বাড়াতে বা সমন্বয় করতে পারে। কী করবে সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত। তেলের দাম বাড়ার কারণে আমাদের খরচ বেড়েছে। আমরা আমাদের খরচের বিষয়ে সরকারকে নিয়মিত জানাচ্ছি। সিদ্ধান্ত এখন সরকারের।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ বছরে সরকার ১০ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এ সময়ে বিদ্যুতের পাইকারি দাম বেড়েছে ১১৮ শতাংশ। খুচরা পর্যায়ে বেড়েছে ৯০ শতাংশ। দেশে সর্বশেষ বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয় গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি। ওই সময় খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ ও পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয় ৮ দশমিক ৪ শতাংশ।
জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর আমদানিকৃত তেলের একটি বড় অংশ ব্যয় হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে। ডিজেলভিত্তিক এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় প্রতিদিন প্রায় ৪০ কোটি টাকার ডিজেল প্রয়োজন হচ্ছে। ফলে এ কেন্দ্রগুলোয় মাসিক খরচ হচ্ছে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা। আর পাঁচ হাজার ৫০০ থেকে পাঁচ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট ফার্নেস অয়েলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রেও প্রতিদিন বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এর অধিকাংশই আমদানি করা তেল দ্বারা পরিচালিত।

Comments (0)
Add Comment