এবার বৃষ্টির প্রবণতা বেশি : স্বাভাবিক সময়েই আসছে বর্ষা

স্টাফ রিপোর্টার: খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোর অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রবাহমান এ দাবদাহ অব্যাহত থাকলেও সারাদেশেই আজ থেকে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে। আবহাওয়া অধিদফতর এরকমই পূর্বাভাস দিয়ে বলেছে, দুইদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরণের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হতে হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, রংপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সিলেট, কুমিল্লা নোয়াখালী এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত (পুনঃ) ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সাথে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দরসমূহকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। গতকাল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৫ দশমিক ৪ এবং দেশের সর্বোচ্চ ছিলো যশোরে ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গায় গতকালও ২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। দেশের সর্বাধিক বৃষ্টিপাত গতকাল সৈয়দপুরে ৯৪ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়।
প্রসঙ্গত: বর্ষাকাল এখনো শুরু হয়নি। বর্ষা আসতে আরও কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে বর্ষার আমেজে বৃষ্টি হচ্ছে চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের অধিকাংশ এলাকায়। আবহাওয়াবিদেরা জানান, গত বছর বর্ষা (মরসুমি বায়ু) এসেছিলো কিছুটা দেরিতে। তবে এবার স্বাভাবিক সময়েই বর্ষাকাল আসবে। বাংলাদেশের মানুষ বর্ষাকাল বলতে আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসকেই হিসেবের মধ্যে নিয়ে আসে। অর্থাৎ, মধ্য জুন থেকে মধ্য আগস্ট পর্যন্ত পুরোদস্তুর বর্ষাকাল। কিন্তু আবহাওয়াবিদদের কাছে বর্ষাকালের হিসাব বেশ দীর্ঘ। তাদের কাছে বঙ্গদেশে বর্ষাকাল শুরু হয় জুন মাসে। ইতি ঘটে সেপ্টেম্বরে। এবার মে মাস শেষার্ধ থেকেই প্রকৃতি বর্ষার সাজে সেজেছে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ আঘাত হানার পর থেকে ঝড়-বৃষ্টি লেগেই আছে। প্রতিদিন একবার নয়, একাধিক বার ভারী বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। গাণিতিক হিসাবে মে মাসে তো স্বাভাবিকের চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে।

Comments (0)
Add Comment