করোনা সৃষ্টিসুখের উল্লাস কাড়লেও শুভেচ্ছায় উজ্জীবিত মাথাভাঙ্গা পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার: অভিনন্দন, শুভেচ্ছাসহ ভালোবেসে পাশে থাকার পুনঃপুন প্রতিশ্রুতি মাথাভাঙ্গা পরিবারকে আবারও উজ্জীবিত করেছে। আনুষ্ঠানিকতায় ঘাটতি থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গতপরশু রাত থেকেই মূলত মজেছিলো মাথাভাঙ্গার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা নিয়ে। শুরু থেকে দীর্ঘ ২৯ বছর পেরিয়ে আড়াই যুগে পদার্পণে সম্পাদককে অভিনন্দনে নন্দিত করার পাশাপাশি আরো দায়িত্বশীল হওয়ার তাগিদও দিয়েছেন পাঠককূল।
নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রকোপে পুরো পৃথিবীই যখন থমকে তখন দৈনিক মাথাভাঙ্গার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন হবে কীভাবে? হয়নি। তাই বলে ঘরে বা কর্মস্থলে বসে ইন্টারনেটে অভিনন্দন, শুভেচ্ছাও কি থেমে থাকে? থাকেনি। দৈনিক মাথাভাঙ্গা মুদ্রণ সংখ্যা যেমন সরকার স্বীকৃত ৩০ হাজারের অধিক, তেমনই ওয়েবসাইটে গুগল বিশ্লেষণেও বিশ্বভরা। ধরিত্রীর বুকে গড়ে ওঠা প্রায় সব সমাজেই রয়েছে দৈনিক মাথাভাঙ্গার পাঠক শুভান্যুধায়ী। দৃষ্টান্তও বটে। যখনকার খবর তখনই ইন্টারনেট সংস্করণে যেমন তুলে ধরা হয়, তেমনই ছাপা সংখ্যাও সাজানো হয় পাঠককূলের প্রত্যাশাপুরণের মতো করেই। দৈনিক মাথাভাঙ্গা মনের কথা বলে, এগিয়ে দেয় আরও একধাপ। এ স্বীকৃতি পাঠককূলের কাছ থেকেই পাওয়া। ১৯৯১ সালের ১০ জুন যাত্রা শুরু করে দৈনিক মাথাভাঙ্গা। বহু চড়াই উৎরায় পেরিয়ে প্রকাশনার ৩০ বছরের শুভক্ষণে যেমন সেলফোনের ক্ষুদ্রবার্তা, ফেসবুকসহ সামাজিক প্রায় সকল মাধ্যমে অসংখ্য পাঠক শুভান্যুধায়ী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বলেছেন, মাথাভাঙ্গার অগ্রযাত্রায় আমরাও গর্বিত। ভালোবাসা ছিলো, থাকবে আনন্তকাল। অভিনন্দিত সম্পাদক প্রকাশক সরদার আল আমিন সকলের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে কৃতজ্ঞচিত্তে সকলের সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, করোনা সঙ্কট কাটিয়ে সুন্দর সমাজ গঠনের প্রত্যয়ে আরও দৃঢ় হবে আমাদের পথচলা। করোনার কারণে সৃষ্টি সুখের উল্লাস আয়োজন মাথাভাঙ্গার প্রধান কার্যালয়ে না হলেও গতকাল ভালাইপুর প্রতিনিধির উদ্যোগে সংক্ষিপ্ত আকারে হলেও হয়েছে। আজ হচ্ছে মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে।
ভালাইপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বহুল প্রচলিত ও প্রকাশিত দৈনিক মাথাভাঙ্গা ২৯ বছর পেরিয়ে প্রকাশনার ৩০ বছরে পদার্পনে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভালাইপুর সাংবাদিক ইউনিটের পক্ষে থেকে দৈনিক মাথাভাঙ্গা প্রকাশনার ৩০ বছর পদার্পণ উপলক্ষে গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভালাইপুর সাংবাদিক ইউনিট অফিসে মতবিনিয় শেষে কেক কাটা হয়। কেক কাটার আগে আলোচনা পর্বে ভালাইপুর মোড় সাংবাদিক ইউনিটের সভাপতি দৈনিক মাথাভাঙ্গার ভালাইপুর প্রতিনিধি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সস্পাদক ও ভালাইপুর মোড় বাজার দোকান মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা আসাদুজ্জামান কবীর। এ সময় তিনি বলেন, এই অঞ্চলের সেই সময়কার একমাত্র পত্রিকা দৈনিক মাথাভাঙ্গা। যার লেখনির মাধ্যমে আমাদের এই সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় সন্ত্রাস দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার ফলে আজ সন্ত্রাস মুক্ত হয়েছে। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ভালাইপুর মোড় বাজার দোকান মালিক সমিতির উপদেষ্টা জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দৈনিক মাথাভাঙ্গার মাধ্যমে প্রশাসনকে ভালাইপুর মোড়ের দিকে নজর দেয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি দৈনিক মাভাঙ্গায় লেখনির কারণে জেলায় যেমন সন্ত্রাস মুক্ত হয়েছে তেমনই মাদকমুক্ত হতে চলেছে। সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে লেখনির মাধ্যমে পত্রিকাটি ভূমিকা রাখায় দৈনিক মাথাভাঙ্গার সম্পাদক ও প্রকাশক সরদার আল আমিনকে ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভালাইপুর মোড় বাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হাজি আমির হোসেন। তিনি বলেন, দৈনিক মাথাভাঙ্গা এমন একটি পত্রিকা যা সকালে লাখ পাঠকের খোরাক। প্রকাশনার ৩০ পদার্পণে সকল সাংবাদিক ও সম্পাদকম-লীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভালাইপুর মোড় বাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা শান্তি, ভালাইপুর সাংবাদিক ইউনিটের উপদেষ্টা সাংবাদিক শামিম রেজা, আলমগীর কবীর শিপলু, মেহেদি খান, ভালাইপুর সাংবাদিক ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক শারিউর রহমান লন্টু, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান, শরিফুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম-২, রোকনুজ্জামান রোকন, সুমন রেজা, জাহিদ হাসান, হুমায়ন কবীর, শাহাদৎ হোসেন লাভলু প্রমুখ।

Comments (0)
Add Comment