ডাক্তার-নার্স ছাড়াই চলে মহেশপুরের ১৮টি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় ১৮টি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক চলে ডাক্তার নার্স বিহীন। যেখানে একটি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক চালাতে হলে সর্বক্ষণিক একজন এমবিবিএস ডাক্তার ও একজন ডিপ্লোমা নার্স থাকতে হবে। সেখানে মহেশপুর উপজেলার ক্লিনিকগুলোর দুই একটিতে নার্স থাকলেও কোনো ক্লিনিকে নেই ডাক্তার। এলাকাবাসীর অভিযোগ ফলে প্রায় দিনই মৃত্যুর মিছিলে যোগ হয় গর্ভবতী মা ও শিশুরা। ইতোমধ্যে এ উপজেলায় একটি ক্লিনিকে ১১জনসহ ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে ৪০-৪৫জন রোগী মৃত্যুবরণ করে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার নেপার মোড়ের একতা ক্লিনিক ও হাসপাতালে ১৬ বছরের লাবনি খাতুন নামের এক কিশোরী গর্ভবতী মা হত্যার শিকার হয়েছে।
জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে একটি ক্লিনিকের অনুমোদন পেতে হলে লাইসেন্স থাকতে হবে। একজন সর্বক্ষণিক এমবিবিএস ডাক্তার ও ডিপ্লোমা নার্স, আয়া, হাইডোলিক ডেবিল, ওটি লাইট, অক্সিসিজেন সিলিন্ডার, ছাগার মেশিন ও এনেস্থিয়া মেশিন অবস ডাক্তার থাকলে ১০ বেডের অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু মহেশপুর উপজেলার কোনো ক্লিনিকে এগুলো না থাকলেও বহাল তবিয়তে চলে ক্লিনিকগুলো। সিভিল সার্জন কোনো অর্দশ্য ক্ষমতা বলে ডাক্তার নার্স না থাকলেও তাদেরকে ক্লিনিক চালাতে সহযোগিতা করেন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মহেশপুর শহরের প্রাণ কেন্দ্রে সীমা ক্লিনিক চালান আশাদুল ইসলাম, সুমন ক্লিনিক তার ভাই আনারুল ইসলাম, মহেশপুর প্রাইভেট হাসপাতাল চালান সুবাস কুমার, ফাতেমা ক্লিনিক ওমর আলী, গুড়দাহ কর্ণফুলি ডাবলু মিয়া, পদ্মপুকুর ক্লিনিক লাল্টু মিয়া, নেপার মোড়ের একতা প্রাইভেট হাসপাতাল রাসেল মিয়া, মা ও শিশু হাসপাতাল মনু মিয়া, পিয়ারলেস হাসপাতাল চালান বাবু, জিন্নাহনগর বাজারের নিউ মডান হাসপাতাল বাশার মিয়া, মনুয়ারা ক্লিনিক জুলফিকার আলী, কুশোডাঙ্গা গ্রামের গ্রামীণ ক্লিনিক নজরুল ইসলাম, ভৈরবা বাজারের মর্ডান ক্লিনিক বাশার মিয়া, সিহাব প্রাইভেট হাসপাতাল সেলিম উদ্দিন, সজিব ক্লিনিক সামাউল হোসেন, খালিশপুর বাজারের গ্রামীন ক্লিনিক জুলফিকার আলী ও পুড়োপাড়া বাজারে সুমি ক্লিনিক চালান গোলাম মোস্তাফা। মহেশপুর উপজেলার প্রাইভেট হাসাপাতাল ও ক্লিনিক সমিতির সভাপতি আসাদুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাগজপত্র অনলাইনে করা আছে। ডাক্তার নার্সের ব্যাপারে বলেন, আমার ও আমার ভাই আনারুল ইসলামের ক্লিনিকে সর্বক্ষণিক ডাক্তার নার্স আছে। তবে উপজেলার আরও কয়েকটিতে ডাক্তার নার্স আছে। আগামী ২৩ তারিখের মধ্যে আমার উপজেলার সব ক্লিনিকের লাইসেন্স পাবো। মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আনজুমান আরা বলেন, আমি উপজেলার সব ক্লিনিক পরিদর্শন করে লাইসেন্স নবায়নের জন্য রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে কোনো ক্লিনিক ও প্রাইভেট হাসপাতালে ডাক্তার নার্স পায়নি। এখন যারা লাইসেন্স দিয়ে থাকে তারা কিভাবে দেবে এটা তাদের বিষয়।

Comments (0)
Add Comment