দেশে করোনায় আরও ৮৮ মৃত্যু : শনাক্ত ৩৪৩৬

স্টাফ রিপোর্টার: দেশে করোনার নিম্নমুখী সংক্রমণ ধারার মধ্যেও গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ হাজার ৩৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৪৩৬ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ সাত হাজার ১১৬ জনে। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশ থেকে ৩৩ হাজার ৫৯৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে সরকারি-বেসরকারি ৭৯১টি ল্যাবরেটরিতে ৩৩ হাজার ২৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৮৯ লাখ ৯১ হাজার ৬৬৪টি।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আগের দিন বুধবার সারাদেশে ৩ হাজার ৬২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয় ও মৃত্যু হয় ৭৯ জনের। সে হিসাবে এক দিনে শনাক্ত রোগী আর মৃতের সংখ্যা বেড়েছে, সেই সঙ্গে বেড়েছে দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার। গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ, যা আগের দিন ১০ দশমিক ১১ শতাংশ ছিল। দেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক শূন্য ৭৬ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে আরও ৫ হাজার ৯০১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে। সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক শূন্য ৪১ শতাংশ।
করোনায় সর্বশেষ মৃতদের মধ্যে বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে, ৩০ জনের। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া রাজশাহীতে ৫ জন, খুলনায় ৭ জন ও সিলেটে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজন করে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫৪ জন ও নারী ৩৪ জন। মৃতদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৬৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১৭ জন ও বাড়িতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে ভাইরাস শনাক্তের পর মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বিশোর্ধ্ব ৩ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ৮ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৮ জন, ষাটোর্ধ্ব ৩২ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৯ জন, আশি বছরের বেশি ছয়জন ও নব্বই বছরের বেশি বয়সি ২ জন রয়েছেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারে সবচেয়ে বাজে সময়টা পার করে এসে ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ অগাস্ট তা ২৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারির মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪৫ লাখ ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে। আর ২১ কোটি ৮৩ লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে।

Comments (0)
Add Comment