প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বই কেনার প্রস্তাব প্রত্যাহার

আগামী শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিকের নবম ও দশম শ্রেণির বইয়ের দরপত্রের অনুমোদন দেয়নি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি। রোববার কমিটির ৩৭ তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এদিন ‘এনসিটিবিতে আবারও সক্রিয় সিন্ডিকেট’ এমন শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে খবর প্রকাশের পর ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অনুরোধে সরকার এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

জানা যায়, শিক্ষা বিভাগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) ৯ম শ্রেণি, দাখিল ৯ম শ্রেণি, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল ৯ম শ্রেণি এবং কারিগরি ট্রেড ৯ম ও ১০ম শ্রেণির বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হয়। এই দুই শ্রেণির বইয়ের লট ছিল মোট ২৩৪টি। বইয়ের পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৭০ লাখের মতো। এতে আনুমানিক ৫০০ কোটির টাকার ক্রয় সংক্রান্ত সুপারিশ বাতিল করা হয়েছে। দরপত্রের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এই ধরনে গুরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে।

যুগান্তরে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়, চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের বিন্যামূল্যে পাঠ্যবই ছাপাতে ব্যাপক দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে বেশির ভাগ মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান। সেখানে শিক্ষার্থীদের ৩০ ভাগ নিম্নমানের বই দেওয়া হয়েছে। ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্তরের বই ছাপানোর বিতর্কির্ত মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে এনসিটিবির বেশ কিছু আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তারা মাঠে নামেন। তারা একই নিয়মে পুনরায় দরপত্র আহবান করতে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে সুপারিশ করেন।