বঙ্গবন্ধুর আদর্শ দিয়ে দেশকে আরও এগিয়ে নেয়া সম্ভব

চুয়াডাঙ্গায় শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠানে রাজ্জাক খান

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএরাজ্জাক খান রাজের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মবার্র্ষিকী উপলক্ষে দোয়া, আলোচনা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বাদ মাগরিব পলাশপাড়ার বাগান বাড়িতে এ আয়োজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএরাজ্জাক খান রাজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আফজালুল হক, জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ।
আলোচনাসভার সভাপতি এমএ রাজ্জাক খান রাজ বলেন, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিনে এ জেলার আওয়ামী লীগ ও তার অংগ সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি বিশাল বড় দল। বঙ্গবন্ধুর সেই বড় দলের আদর্শকে কাজে লাগিয়ে দেশকে আরও বড় জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব। তাই আসুন সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যের মাধ্যমে আওয়ামী রাজনীতি ও দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আমি বিশ্বাস করি সুস্থ ধারার রাজনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের মাধ্যমে দেশকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। যেটি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি ধন্যবাদ জানায় এ জন্য যে, তিনি ভালো কাজ ও সৎভাবে যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করেন সবসময় তাদের পাশে থাকেন। তা না হলে আমার মতো একজন ব্যবসায়ীর প্যাভিলিয়নে (ঢাকা বাণিজ্য মেলায়) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর পর দু-বছর সময় দিয়ে অনেকক্ষন অবস্থান করেছেন। তিনি আমাকে বলেছেন রাজ শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও তোমার পণ্য রফতানি করতে হবে। সারাবিশ্বকে দেখিয়ে দিতে হবে আমরাও পারি। শত ব্যস্ততার মাঝেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার প্যাভিলিয়নে ৮ মিনিটের বেশি সময় দিয়েছেন। যা একটি রের্কড ব্যাপার। শুধু তাই-ই নয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমার স্বপরিবারে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সৌভাগ্য হয়েছে। তিনি আমার ছেলের খোঁজখবরসহ তার পড়ালেখার খবর নিয়েছেন। যা আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া। তাই সেই পাওয়া ও উৎসাহ থেকে আমি বলতে চাই বঙ্গবন্ধুর আর্দশে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পতাকাতলে দাঁড়িয়ে চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। চুয়াডাঙ্গার মানুষ দল-মত নির্বিশেষে যখন আমাকে ডাকবেন আমি তাদের পাশে থাকবো। ভালো পণ্য ও মান সম্মত প্রডাক্ট তৈরি করে বিশ্বের বুকে মেড-ইন বাংলাদেশকে ব্রান্ডিং করতে চাই। এমনকি মেড-ইন চুয়াডাঙ্গা করার ইচ্ছাও আমার আছে। যদি চুয়াডাঙ্গার মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা আমার সাথে থাকে। অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও আলোচনাসভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত ১নং সহসভাপতি আব্দুল লতিফ খান যুবরাজ। আলোচনাসভা শেষে শহীদ শেখ রাসেলের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা ইসলাম উদ্দীন মুন্সী।

Comments (0)
Add Comment