সুনামগঞ্জের ব্যবসায়ী ও বিএনপির সক্রিয় কর্মী নাসির মিয়াকে ঢাকায় ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন ও পাঁচ লাখ ৭৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নাসির মিয়া তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের হলহলিয়া গ্রামের আকতার হোসেনের ছেলে এবং উপজেলা বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী।
২৫ জুন জেলার শতকোটি টাকার যাদুকাটা বালুমহাল ইজারা নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের দ্বন্দ্বে একপক্ষ কতিপয় ডিবি পুলিশকে কাজে লাগিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ফেসবুকে নিন্দার ঝড় এবং সুষ্ঠু বিচার দাবি জানিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার সুনামগঞ্জের এক রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে ইজারাদার নাসির মিয়া অভিযোগ করে বলেন, যাদুকাটা-১ বালুমহাল বৈধভাবে ইজারা পাওয়ার পর ইজারা বঞ্চিত আওয়ামী দোসর সাবেক ইজারাদার রতন মিয়া হাইকোর্টে মামলা করেন। পরে ইজারা কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ হয়।
একপর্যায়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান যাদুকাটায় অংশ দাবি করলে অন্যপক্ষের মধ্যস্থতায় ৩০ শতাংশ শেয়ার দিতে রাজি হন তিনি। এর পরও মাহবুব হাইকোর্টে মামলা করান। গত ২৫ জুন হাইকোর্টে আইনি লড়াইয়ের জন্য ঢাকায় যান তিনি।
সেখানে এই মহালের সাবেক ইজারাদার ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্যাতনের মামলার অন্যতম আসামি ফ্যাসিস্ট রতন মিয়া, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমানের নির্দেশে ফেরদৌস আলম ও খোরশেদ আলমের সহযোগিতায় কয়েকজন ডিবি সদস্য মিন্টু রোডের কার্যালয়ে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় তাকে।
সেখানে অমানুষিক নির্যাতন এবং হাইকোর্টে মামলা না চালানোর জন্য চাপ দেওয়া হয় তাকে। পরে অভিযুক্ত মাহবুবুর ডিবি অফিসে গিয়ে তার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে ডিবির কয়েকজন সদস্যের উপস্থিতিতে তার কাছ থেকে ৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা নিয়ে যান মাহবুবুর। পরে সাজানো মুচলেকায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে।
নাসির আরও বলেন, ওই মামলা নিয়ে হাইকোর্টের বারান্দায় যেন আমি না যাই, গেলে আমাকে তুলে নিয়ে গুম করে ফেলবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, কোনো ব্যবসায়ীকে ডিবি পুলিশ কোথাও নিয়ে নির্যাতন করেছে, এমন তথ্য তাদের কাছে নেই।