মেঘনায় বরযাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে নববধূসহ ৭ লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার: হাতিয়ার মেঘনা নদীতে বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ দুর্ঘটনায় কনেসহ ৭ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। জানা গেছে, ট্রলারে ৭০-৮০ বরযাত্রী ছিলো। এদের মধ্যে বর ফরিদ উদ্দিনসহ ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করে নৌপুলিশ ও ২৮ যাত্রী সাঁতরে কূলে উঠতে সক্ষম হয়। নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে ঠিক কতজন নিখোঁজ রয়েছে তা জানা যায়নি। উপজেলার কেরিংচরের চানন্দী ঘাট থেকে ভোলা মনপুরা যাওয়ার পথে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে কেয়ারিংচর এলাকার মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
উদ্ধার মৃতরা হলেন- হাতিয়া থানার চানন্দি ইউনিয়নের মো. ইবরাহিমের মেয়ে নববধূ তাসলিমা বেগম (২১), হাতিয়ার পূর্ব আজিমপুর বাজারের খোরশেদ আলমের স্ত্রী নূরজাহান (৬৫), সুধারামপুরের বদরপুরের আকবর হোসেনের মেয়ে আফরিন আক্তার লামিয়া (২), একই এলাকার আক্তার হোসেনের মেয়ে আসমা বেগম (১৯), আলমগীর হোসেনের মেয়ে লিলি আক্তার (৮), নাসিরপুরের ফয়েজ উল্লাহর মেয়ে হোসনে আরা বেগম রুপা (৫), আলাউদ্দিনের স্ত্রী রাহেনা বেগম (৩০)।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, তীব্র স্রোতের তোড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাস ও মোর্শেদ বাজার তদন্ত কেন্দ্রের (ইনচার্জ) আবদুল হালিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম-ঠিকানা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। দুর্ঘটনার শিকার অন্য যাত্রীরা সাঁতরে বিভিন্ন ঘাট দিয়ে কূলে উঠতে সক্ষম হয়। অনেকে নিখোঁজ রয়েছে। তবে ঠিক কতজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে তার সঠিক হিসাব জানা যায়নি। হাতিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ট্রলারে থাকা যাত্রীদের বাড়ি হাতিয়ার নলেরচর ও ভোলার মনপুরা বলে জানা গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত স্থানীয় লোকজন, পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত ছিল। হাতিয়ার নলেরচর থেকে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে বিকেলে ভোলার মনপুরার উদ্দেশে বর ও কনেসহ বরযাত্রী নিয়ে ট্রলারটি রওনা দেয়। ট্রলারটি টাংকিরখাল-ঘাসিয়ারচর এলাকার মেঘনা নদীতে পৌঁছুলে জোয়ারের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এতে ট্রলারে থাকা সব যাত্রী নদীতে পড়ে যায়। এদের মধ্যে কয়েকজন সাঁতার দিয়ে কূলে উঠে আসলেও বেশির ভাগ যাত্রী নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন ট্রলার ও নৌকার মাধ্যমে এগিয়ে গিয়ে অন্তত ৭ জনের লাশ ও কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করে। হাতিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। উদ্ধার অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।

Comments (0)
Add Comment