স্টাফ রিপোর্টার:সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বর্তমানে কারাগারে বন্দি থাকার পরও মানসিকভাবে শক্ত অবস্থানে আছেন। জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া পলক বুধবার ঢাকার আদালতে সাংবাদিকদের জানান, তিনি কারাগারে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন এবং মন খারাপ হয় না। পাশাপাশি, তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
জুলাই আন্দোলনের সময় বনানী থানায় মো. শাহজাহান নামে এক ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডের মামলায় পলকসহ বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ও পলককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই আদেশ দেয় পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে।
বিকেলে আদালতে হাজির করা হলে, পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আসামিদের মাথায় হেলমেট ও বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পড়ানো হয়। এসময় পলক সাংবাদিকদের বলেন, “সব কিছুরই শেষ আছে,” এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি হ্যাঁ বলে সম্মতি দেন।
আদালতে তাদের হাজতখানায় রাখা হয় এবং পরে বিচারক আসার পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বিস্তারিত যুক্তি উপস্থাপন করেন। মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই ঢাকার মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিলে অংশ নেওয়ার সময় ভিকটিম শাহজাহানকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় অন্তত ১২০ জন আন্দোলনকারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
পলকের আইনজীবী জানিয়েছেন, তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো আছেন, যদিও কারাগারে নির্দিষ্ট সুবিধা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। পলক মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করছেন এবং ভবিষ্যতে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
এই মামলা ও পলকের মামলা মোকাবেলার পরিস্থিতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। কারাগারে থাকার পরও নির্বাচনে অংশগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ, তার রাজনৈতিক পুনরুত্থানের ইঙ্গিত দেয়। একই সঙ্গে, এই ধরনের ঘটনা দেশের বিচারব্যবস্থা ও মানবাধিকার প্রশ্নেও আলোচনার বিষয় হতে পারে। সাধারণ পাঠকের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ, কারণ এটি দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তাপ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিবেচিত।