স্কুলশিক্ষার্থীদের পরীক্ষামূলক টিকাদান শুরু

দেশে এক কোটির বেশি শিশুকে করোনার টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত
স্টাফ রিপোর্টার: দেশে ১২-১৭ বছর বয়সি স্কুল শিক্ষার্থীদের পরীক্ষামূলক করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলো। বৃহস্পতিবার কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোবাশ্বির রহমান রাফির (১৭) শরীরে টিকা পুশ করার মধ্যদিয়ে এ কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়। এর উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। দ্বিতীয় টিকা নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিজের নামের গড়া স্কুল গড়পাড়া জাহিদ মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী তাসমিয়া আক্তার তোয়া। টিকা পুশ করেন মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র নার্স সুমি পারভীন। এসময় বক্তৃতাকালে মন্ত্রী বলেন, দেশে এক কোটির বেশি শিশুকে করোনার টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা। শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার স্বপ্নও ছিল তার। সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। আমাদের হাতে ৬০ লাখ টিকা আছে যার মধ্যে আমরা প্রাথমিকভাবে ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে টিকা দেব। বৃহস্পতিবার পরীক্ষামূলকভাবে ১২-১৭ বছর বয়সি ১২০ জনকে টিকা দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয়েছে ১১১ জনকে। শরীরিক অসুস্থতার কারণে বাকি ৯ জনকে দেয়া সম্ভব হয়নি। জেলা সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. লুৎফর রহমান জানান উদ্বোধনপর্বে চারটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২০ শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়ার জন্য মনোনীত করা হলেও শেষ পর্যন্ত ১১১ জনকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ঠান্ডা-কাশি ও শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকায় বাকিদের টিকা দেয়া সম্ভব হয়নি। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলম ফেসবুক লাইভে এসে জানিয়েছিলেন, যেসব স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে, তাদের ১০ থেকে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমেরিকার তৈরি নিরাপদ টিকা শিক্ষার্থীদের দেয়া হচ্ছে। খোদ আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই টিকা দেয়া হচ্ছে। এই টিকা খুবই নিরাপদ। আগামীতে শিক্ষার্থীদের এক কোটি টিকা দিতে পারব। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন থাকেন। তাদের এই উদ্বেগ নিরসন করতে টিকার কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এই টিকাদান কর্মসূচি সম্প্রসারিত করা হবে। পরে দেশের ২১টি স্থান থেকে শিশুদের টিকা দেয়া হবে। রাজধানীতে বিশাল আয়োজনের মাধ্যমে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হবে। করোনাভাইরাস থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখতেই এ টিকার কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেছেন, দেশে এক কোটি শিশু রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব শিশুকে টিকা দেয়া হবে। তিনি বলেন, দেশে ইতোমধ্যে ৫ কোটি করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। জানুয়ারির মধ্যে দেশের ৫০ ভাগ মানুষকে করোনার টিকা দেয়ার টার্গেট রয়েছে। সময়মতো টিকা পেলে এপ্রিলের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্য রয়েছে।

 

Comments (0)
Add Comment