৫২ শিক্ষার্থীকে ৩০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার: আইনে ডিগ্রি লাভের পরও আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে না পারা ৫২ শিক্ষার্থীকে ক্ষতিপূরণ দিতে বেসরকারি বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের শুনানি নিয়ে গতকাল সোমবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সাত দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ হিসেবে শিক্ষার্থীদের ৩০ হাজার টাকা দিতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্ট পরবর্তী শুনানির জন্য ৩১ আগস্ট দিন রেখেছেন।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলবি/এলএলএম প্রোগ্রামে প্রতি সেমিস্টারে সর্বোচ্চ ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা আছে। কিন্তু নির্দেশনা না মেনে এই ৫২ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করেছিল ঢাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এলএলবি পাস করে যাওয়া ওই শিক্ষার্থীরা আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে গেলে তাদের আটকে দেয়া হয়। এরপরে আদালতে ওই রিট করেন ভুক্তভোগী ৫২ শিক্ষার্থী।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মুন্সী মনিরুজ্জামান ও খোন্দকার খালিকুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল। পরে আইনজীবী খোন্দকার খালিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে (৩৭ ব্যাচ) ডিগ্রি লাভের পর ৫২ শিক্ষার্থী আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে বার কাউন্সিলে আবেদন নিয়ে যান। একই ব্যাচ থেকে ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী হওয়ায় তাঁদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেয়া হয়নি। এ অবস্থায় আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তিপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে গত জুলাই মাসে ৫২ শিক্ষার্থী রিটটি করেন। হাইকোর্ট ১৭ আগস্ট বেসরকারি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। তাদের উপস্থিতিতে শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ৫২ শিক্ষার্থীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩০ হাজার টাকা করে দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

Comments (1)
Add Comment
  • সাব্বির

    বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম কিন্তু ছবি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। এটাই হলুক সাংবাদিকতা।