প্রায় প্রতিটি সফল প্রেমের গল্পের শুরুটা যেন তিক্ততায়। জসপ্রীত বুমরাহ ও সঞ্জনা গনেশনের গল্পটাও তেমন। ক্রীড়া সাংবাদিক সঞ্জনা ভাবতেন বুমরাহ বুঝি মুড নিয়ে আছেন, অপরদিকে বুমরাহর ভাবনায় ছিল শুধুই ক্রিকেট। তবে সময় গড়াতে পরিচয় হয়, প্রেম হয়, প্রণয়ের পর সংসারও হয়েছে। এখন জানা গেছে, অজানা এক কথা।
বুমরাহর মতে, সঞ্জনা নাকি তাকে বিবাহিত ভেবে বসেছিলেন। দুজনের প্রথম দেখার কিভাবে, সেটি বলতে গিয়ে সঞ্জনাও শুনিয়েছেন সেদিনের কাহিনী। হরভজন সিংহ ও তার স্ত্রী গীতা বসরার ‘হুজ দ্য বস’ অনুষ্ঠানে দুজন বলেছেন একে অন্যকে নিয়ে কি ভাবতেন সেটাও।
সঞ্জনা বলেন, ‘২০১৯ বিশ্বকাপের সময় প্রথমবার দেখা হয়েছিল বুমরাহের সঙ্গে। ভারতের অনুশীলনে গিয়েছিলাম। ডিকে (দীনেশ কার্তিক) এবং বাকি কয়েকজন আমাদের দিকে তাকিয়ে হাত নেড়েছিল। সেই দলে জসপ্রীতও ছিল। তবে কঠিন মুখ করে অনুশীলন করেছিল। যেন প্রতিজ্ঞা করেছিল, ‘আমি হাত নাড়ব না তো বটেই, ওর দিকে তাকাবও না।’
সাংবাদিক সঞ্জনা ভেবেছিলেন, বুমরাহ ইচ্ছা করে তাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন। হয়তো তার বান্ধবী বা স্ত্রী রয়েছে, ‘ওর বান্ধবী বা স্ত্রী থাকতে পারে ভেবে আলাপ করিনি। একবার মনে হয়েছিল আমিই হয়তো কোনও ভুল করেছি। এ রকমই ছিল জসপ্রীতের ব্যক্তিত্ব।’
তবে পরিস্থিতি পাল্টে যায় কদিন পরেই, ‘আমরা কথা বলা শুরু করার পর একে অপরকে বুঝতে শুরু করি। যা ভেবেছিলাম তার কিছুই ওর সঙ্গে মেলেনি।’ এসময় পাশ থেকে বুমরাহ অভিযোগ করেন, ‘একতরফা গল্প বলছেন সঞ্জনা।’
হাসতে হাসতে বুমরাহ বলেন, ‘ও ভেবেছিল আমি বিবাহিত। আসলে বরাবরই খুব লাজুক। সচরাচর কাউকে ‘হাই’ বলি না। লোকের সঙ্গে মিশতে আমার সময় লাগে। সঞ্জনা বলছে আমি ‘হাই’ না বলায় ওর মনে হয়েছিল হয়তো আমি বিবাহিত। এটা কোনও যুক্তি হল?’
প্রেম বোধহয় যুক্তিতর্ক মানে না। বুমরাহ-সঞ্জনার সেই বিরূপ ভাবনা কেটে যায়, কথা হয়—কথা বাড়ে। একসময় প্রেম হয়, সেই প্রেম পরিণত হয়েছে। ২০১৯ সালে প্রথম দেখার পর ছয় বছর কেটে গেছে। বুমরাহ-সঞ্জনার ঘরে এখন একটি ছেলেও আছে।