স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলায় ভয়াবহ রূপ নিয়েছে মরসুমি জ্বর। ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়া এ জ্বরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। জেলার চারটি সরকারি হাসপাতাল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল, আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। হাসপাতালগুলোর শয্যা সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় অনেক রোগী মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে ওষুধের সংকট, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। জ্বরের উপসর্গ হিসেবে থাকছে প্রচ- শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, কাশি ও মারাত্মক দুর্বলতা। অনেকেই জ্ঞান হারাচ্ছেন, এবং সুস্থ হলেও দীর্ঘদিন ধরে ক্লান্তি ও ব্যথায় ভুগছেন। চিকিৎসকদের মতে, সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে জ্বর কমলেও সম্পূর্ণ সুস্থ হতে এক মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে জেলায় অন্তত ২ হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক। জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মকবুল হাসান জানান, ‘প্রতিদিন আমাদের হাসপাতালে ৭০০ থেকে ৮০০ রোগী আসছেন। এটি মরসুমি জ্বর, যা আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তন, অতিরিক্ত গরম ও বৃষ্টির কারণে হয়ে থাকে। জ্বর দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেয়া উচিত।’ চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। পুষ্টিকর খাবার, পর্যাপ্ত পানি পান এবং বিশ্রামই হলো এই রোগের প্রতিরোধ ও প্রতিকার। তবে দীর্ঘস্থায়ী জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।’ স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ওষুধ সংকট কাটাতে জরুরি ভিত্তিতে ওষুধ সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।