চুয়াডাঙ্গা শহরে গরুর অবাধ বিচরণ : প্রশাসনের অভিযান শুরু নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার রাস্তাঘাটে যত্রতত্র গবাদিপশু ছেড়ে রাখার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। এতে একদিকে যেমন যানবাহন চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভও বাড়ছে। গত রোববার জুলাই ২০২৫ মাসের জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা। রাস্তা, মোড় ও জনবহুল এলাকায় ছেড়ে রাখা গবাদিপশু অপসারণে যৌথ অভিযান শুরু হচ্ছে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম. সাইফুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “গবাদিপশু রাস্তায় ছেড়ে রাখলে তা আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে মালিকবিহীন গবাদিপশু বাজেয়াপ্ত করা হবে।” তিনি আরও জানান, প্রতিদিন পৌরসভা থেকে ১০ জন জনবল ও একটি ট্রাক অভিযানে নিয়োজিত থাকবে। বিষয়টি ওয়েবপোর্টালে প্রকাশের জন্য উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সচেতন নাগরিক রফিকুল ইসলাম বলেন, “দিনের বেলায় স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রী আর রাতের বেলায় হাসপাতালমুখী অ্যাম্বুলেন্স—সবসময় গরুগুলো রাস্তা আটকে রাখে। গতকালকে রাতেও আব্দুল্লাহ হক নামের সাংবাদিক কলেজ রোডে গরুর ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়। তবে এই ধরনের দুর্ঘটনা তো লেগেই আছে!” সদর বাজার এলাকার বাসিন্দা মমিনুর রহমান বলেন, “অনেকেই নিজের সুবিধার জন্য গরু ছেড়ে দেয়, কিন্তু এতে সবার অসুবিধা হয়। মাঝে মাঝেই গরুর ধাক্কায় সাইকেল-মোটরসাইকেল চালকরা পড়ে যায়।” চুয়াডাঙ্গা কলেজের ছাত্রী শারমিন আক্তার বলেন, “কলেজে আসার সময় রাস্তায় গরু থাকায় প্রায়ই জ্যাম লাগে। গরুর ভয়েও চলতে হয়। এটা খুবই বিপজ্জনক।” উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পশুর মালিকদের উদ্দেশ্যে বারবার সতর্ক বার্তা দেয়া হচ্ছে যেন গবাদিপশুগুলো নির্ধারিত স্থান বা নিজ নিজ খামারে রেখে পালন করা হয়। অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার হুঁশিয়ারি দিয়েছে প্রশাসন। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন সচেতন নাগরিকদের সহযোগিতা কামনা করেছে এবং আশা করছে, নাগরিক দায়িত্ববোধ ও প্রশাসনিক তৎপরতায় দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।