স্টাফ রিপোর্টার:বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আগামী বছরের শুরু থেকে দেশে নির্বাচন আয়োজনের অনুকূল পরিবেশ থাকবে না। তাই ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গার নিজ বাসভবনে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
দুদু বলেন “নির্বাচন আমাদের দেশে একটি জাতীয় উৎসব। কিন্তু ফেব্রুয়ারির পর থেকে ঝড়, তুফান, রমজান, পাবলিক পরীক্ষা ইত্যাদি কারণে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নাও হতে পারে। ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া উচিত—প্রয়োজনে জানুয়ারিতে হলেও চলবে।”
তিনি জানান, বিএনপিসহ প্রায় ৫০টি রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছে। অথচ সরকার এখনো এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিচ্ছে না।
১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “তৎকালীন সরকার তিন মাসের মধ্যেই নির্বাচন দিয়েছিল। অথচ এই সরকার প্রায় ১০ মাস ধরে ক্ষমতায় থেকেও কোনো কার্যকর সংস্কার করতে পারেনি।”
আওয়ামী লীগ সম্পর্কে কড়া মন্তব্য করে দুদু বলেন, “আওয়ামী লীগ একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। তারা নিজেদের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বলে পরিচয় দিতে পারে না। তাদের কৃতকর্মের বিচার একদিন হবেই—কারও ফাঁসি, কারও যাবজ্জীবন, কারও কারাদণ্ড হবে।”
দুদু আরও বলেন, বিএনপি দুর্নীতি বা চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। “যারা এসব কাজের সঙ্গে জড়িত, তারা বিএনপির কেউ নয়। অভিযুক্তদের আইনের হাতে তুলে দেওয়া হবে।”
এসময় আরও উপস্থি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শামীম রেজা ডালিমসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
চুয়াডাঙ্গার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “আমার যা কিছু অর্জন, তার সিংহভাগই চুয়াডাঙ্গা থেকে। এখানকার মানুষ আমাকে দুইবার নির্বাচিত করে সম্মানিত করেছেন। তাই ভবিষ্যতে যদি নির্বাচন করি, আমি চুয়াডাঙ্গা থেকেই করবো।