স্টাফ রিপোর্টার: দেশ গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য নির্বাচন ছাড়া বিকল্প কোন পথ নাই মন্তব্য করে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। স্বৈরতন্ত্রের পতন মানে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। আর গণতন্ত্রে ফিরে আসতে দরকার একটি সুষ্ঠ সাধারণ জাতীয় নির্বাচন। গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগ জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দুদু বলেন, স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। স্বৈরতন্ত্রের পতন মানে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। আর গণতন্ত্রে ফিরে আসতে দরকার একটি সুষ্ঠু সাধারণ জাতীয় নির্বাচন। দেশ গণতন্ত্রে উত্তরণে জন্য নির্বাচন ছাড়া আর বিকল্প কোন পথ নাই। কিন্তু কেউ কেউ বলছে, এক দলকে পতন করে আর এক দলকে ক্ষমতা আনার জন্য আমরা এই গণঅভ্যুত্থান করি নাই। এটা কি ধরনের কথা? দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই একটি নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার। সেই নির্বাচনে যেকোনো দল বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পারে। দেশের জনগণ যে দলকে ভোট দিবে সেই দল সরকার গঠন করবে। সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, তরুণরা যে দল গঠন করেছে এনসিপি, সেই দলকে যদি দেশের জনগণ ভোট দেয় তাহলে তারা সরকার গঠন করবে। আর জনগণ যদি ভোট না দেয়, তাহলে সরকার গঠন করবে কিভাবে। আর যদি অন্য দলকে ভোট দেয়, সেই দল সরকার গঠন করবে। একটা দলই তো সরকার গঠন করবে। তিনি আরও বলেন, যারা বলছে একদলকে ক্ষমতায় আনার জন্যে গণঅভ্যুত্থান করি নাই বা পিআর পদ্ধতি চাচ্ছে তারা নির্বাচনকে ঠেকাতে চাচ্ছে। নির্বাচনকে ভ-ুল করতে চাচ্ছে। আর নির্বাচন না হলে আবার স্বৈরতন্ত্রের দিকে ফিরে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিবে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে দেশ অচল অবস্থা হবে। ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, কোন কোন দল, কোন কোন মহল, কোনো কোনো শক্তি, জেনে হোক আর না বুঝে হোক হাসিনার ফাঁদে পা দিয়েছে। কারণ হাসিনা চায় নির্বাচন না হোক। তাই নির্বাচন না হলে দেশ ভালো থাকবে না। জনগণ ভালো থাকবে না, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না। তিনি বলেন, গণতন্ত্র যাতে প্রতিষ্ঠিত না হয় তার জন্য চারদিক থেকে ষড়যন্ত্র। তাই আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন যে কোনো স্বার্থে, যেকোনভাবে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, গণঅভুত্থানের যে স্পিড তা ধরে রাখতে হবে বিবাদ করা যাবে না। যতক্ষণ না আমরা গণতন্ত্রে উত্তোলন হয়েছে। তা না হলে পার্শ্ববর্তী একটা দেশ আছে, সারাক্ষণ আমাদের বিরুদ্ধে বলে যাচ্ছে। বাংলাদেশের কুলাঙ্গার কথিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যিনি গণহত্যা চালিয়েছে, দেশের টাকা লুটপাট করেছে। ক্ষমতায় থাকার জন্য এরকম কোন হত্যা বা টাকা লুটপাট এর আগে কেউ করে নাই। সেই শেখ হাসিনাকে জায়গা দিয়েছে ভারত। তাই আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য। ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক আলম সরদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব পূর্ণিমা মুন্নি দোলা সঞ্চালনা আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কৃষকদলের সাবেক দফতর সম্পাদক এস কে সাদী, ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান জুয়েল প্রমুখ।