আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১২ জনে। আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ২ হাজার ৮১৭ জন। শনিবার (৩১ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দেশটির সরকারপক্ষের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। খবর খামা প্রেসের।
জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘স্থানীয় প্রশাসন ও বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারে কাজ করছেন। রাজধানীসহ আশপাশের প্রদেশগুলো থেকেও সহায়তা দল ঘটনাস্থলে পৌঁছাচ্ছে।’
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ওইদিন আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বতমালায় ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল আসাদাবাদ শহর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।
শক্তিশালী কম্পনে বহু গ্রাম সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। পাহাড়ধসে একাধিক সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্গম এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এর ফলে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আফগানিস্তানের বারবার ভূমিকম্প হয় কেনো?
আফগানিস্তান বারবার ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। হিন্দুকুশ পর্বতমালা ঘিরে থাকা এই দেশটি পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল
টেকটোনিক ফল্ট লাইনের অবস্থান,আফগানিস্তান দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়ার মাঝামাঝি এমন এক অঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে ভারতীয় প্লেট ও ইউরেশীয় প্লেট একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এই চাপের কারণেই হিমালয় ও হিন্দুকুশ পর্বতমালা তৈরি হয়েছে।
হিন্দুকুশ পর্বতমালা,আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, বিশেষত হিন্দুকুশ পর্বতমালা, পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। এখানে প্রায়ই ভূগর্ভে প্লেটের সরে যাওয়া বা ধাক্কার ফলে বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়।
শ্যালো বা অগভীর ভূমিকম্প,আফগানিস্তানে ভূমিকম্পগুলো প্রায়ই ভূগর্ভের অগভীর স্তরে হয়। এর ফলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা অনেক বেশি হয়, কারণ কম্পন সরাসরি মাটির উপরিভাগে ছড়িয়ে পড়ে।
দুর্বল অবকাঠামো,ভূমিকম্প শুধু প্রাকৃতিক নয়, মানবিক দিক থেকেও ক্ষতির মাত্রা বাড়ে। আফগানিস্তানে ভবন, গ্রাম ও অবকাঠামো অনেকটাই দুর্বল; তাই মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পও ব্যাপক প্রাণহানি ও ধ্বংস ডেকে আনে।