লাবলু রহমান: দেশে বর্তমানে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে অন্তত ৯৫০ এবং সেখানে দৈনিক ৪৫ হাজারের মতো পণ্য বিক্রি হচ্ছে। ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাবের তথ্যমতে, বর্তমানে অনলাইন সেবা চালু রেখেছে সাড়ে ৭০০-এর বেশি অনলাইন শপ। এদের অধিকাংশই যে বেকার ও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী নয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কোনোরকম খরচ ছাড়াই কিংবা স্বল্পমূল্যে পণ্য কেনাবেচার পরিবেশই মূলত এ প্ল্যাটফর্মে তাদেরকে আগ্রহী করে তুলেছে। আর এ অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে কেন্দ্র করেই তৈরি হচ্ছে নানা কর্মসংস্থান; বদলে যাচ্ছে বহু তরুণ উদ্যোক্তার ভাগ্য। তবে প্রশ্ন উঠেছে নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট বা অ্যাপস নিয়ে! বর্তমানে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে অন্তত ৯৫০ এবং সেখানে দৈনিক ৪৫ হাজারের মতো পণ্য বিক্রি হচ্ছে। ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাবের তথ্যমতে, বর্তমানে অনলাইন সেবা চালু রেখেছে সাড়ে ৭০০-এর বেশি অনলাইন শপ। আর ফেসবুকে পেজ খুলে পণ্য বিক্রি করছে আরও ১০ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান। এদের অধিকাংশই যে বেকার ও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী নয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কোনোরকম খরচ ছাড়াই কিংবা স্বল্পমূল্যে পণ্য কেনাবেচার পরিবেশই মূলত এ প্ল্যাটফর্মে তাদেরকে আগ্রহী করে তুলেছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে নির্ভরযোগ্য সাইট নিয়ে! নানারকম প্রতারণার ফাঁদ বিছিয়ে তারা হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা।
ভুক্তভোগীরা হলেন, গড়াইটুপি খালপাড়ার জনি তার দাদির কাছ থেকে ১০ হাজার নিয়ে মোট ৪০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছেন। একই পাড়ার ফারুক হোসেনের ছেলে রানার মা ৩০ হাজার ও তার নিজের ২০ হাজার মোট ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। গড়াইটুপি তেতুলতলা পাড়ার হায়দার আলির ছেলে মিজানুর রহমান তাপস ২৫ হাজার, হাইস্কুল পাড়ার আবু সাইদ বিপ্লব ৭৫ হাজার, বিত্তিরদাড়ি গ্রামের জমির আলির ছেলে শামীম ১০ হাজার টাকা, গড়াইটুপি ত্রিপুরা পাড়ার মিজার আলির ছেলে এক লাখ ১২ হাজার, গড়াইটুপি মাঝের পাড়ার দাউদ হোসেনের ছেলে ছাগল বিক্রি করে ২০ হাজার, গড়াইটুপি স্কুলপাড়ার বিল্লালের ছেলে মনির ১৫ হাজার জনৈক এক যুবক ৫০ হাজার, খাড়াগোদা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে মাসুদ রানা ১৬ হাজার, ঝিনাইদহের বংকিরা গ্রামের স্বর্গীয় জয়দেব কর্মকারের ছেলে খাড়াগোদা বাজারের ব্যবসায়ী কমল কর্মকার ১৭ হাজার, খাড়াগোদা বিল্লালের ছেলে গাফফার ১৪ হাজার, গহেরপুর গ্রামের মৃত দৌলত আলীর ছেলে নবম শ্রেণির ছাত্র তুহিন টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে ৪ হাজার টাকা, একই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে রমজান ৮ হাজার ৮শ টাকা, একই গ্রামের কনকের ছেলে রকি ১৫ হাজার।
এদিকে অভিযুক্ত সুমন শেখের তথ্যমতে তিনি গহেরপুর গ্রামের মাঠপাড়া ইদ্রিসের ছেলে রাজুকে ও সুমনের ভাগ্নে রানা মূল দায়িত্ব ছিলেন। কিন্তু এ বিষয়ে রাজু কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে ভুক্তভোগীরা আরো জানান, তিনি ২০২৩ সাল পর্যন্ত গ্যারান্টি সহকারে বিনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু এখন অ্যাপস ডিজেবল দেখাচ্ছে এবং তার মোবাইল ফোন সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুমন শেখ জানান, আমি আমার গ্রামের রাজু ও আমার ভাগ্নেকে প্রথম একাউন্ট খুলে দিই। কিন্তু আমার একাউন্টের টাকাও উত্তোলন করতে পারছি না। অ্যাপসটি ডিজেবল হয়ে গেছে।
দর্শনা থানার (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর জানান, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।