দামুড়হুদা অফিস/প্রতিনিধি: দামুড়হুদার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামে একই রাতে দুটি বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতদল দুটি বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে। সোমবার রাত আনুমানিক দেড় টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের মৃত জুনাব আলীর দুই ছেলে আতিয়ার রহমান ও আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে এ দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ওই এলাকা থেকে তিনটি বোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার, ডিবি ও থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, চুয়াডাঙ্গা ডিবির ওসি মশিউর রহমান, ওসি সাইবার ক্রাইম আনিছুর রহমান, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের জুনাব আলীর ছেলে আনোয়ার রহমান ও আতিয়ার রহমানের বাড়িতে হানা দেয় ১০-১২ জনের মুখোশ পরিহিত একটি ডাকাতদল। মুখোশ পরিহিত ডাকাত দলের ৫/৬ জন আতিয়ার রহমানের ঘরে ঢুকে আতিয়ারসহ তার বাড়ির লোকজনকে ধরালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চোখ ও হাত বেঁধে ফেলে। এসময় ঘরে থাকা নগদ ৫২হাজার টাকা ও স্বর্নালংকার লুট করে। এরপর আতিয়ার রহমান কে নিয়ে তার ভাই আনোয়ার রহমানকে ডাকিয়ে তাকেসহ পরিবারের লোকজনকেও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। ওই বাড়িতে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা ও স্বর্ণের কানের দুল, চেইন, আংটি লুট করে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। প্রায় ঘন্টাব্যাপি এই ডাকাত দলের তান্ডব চলে দুটি বাড়িতে। দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি হুমায়ন কবির জানান, মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে ঘটনার বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হয়েছে। এসময় তিনটি বোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। বোমা ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মামলার প্রস্তুতি চলছে। দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।