আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার অনেক বেশি : নতুন নমুনা সংগ্রহ ২৯

চুয়াডাঙ্গায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হ্রাস পেলেও অসতর্কতায় ঘটতে পারে বিপত্তি

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হ্রাস পেলেও অস্তিত্ব রয়েছে। আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা অনেক বেড়েছে। ফলে হাসপাতাল তথা প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে ও হোম আইসোলেশনে রোগী দ্রুত কমে শনিবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ছিলো মোট ১শ ৯জন। এরমধ্যে গত শুক্রবার শনাক্ত হন দুজন। শনিবার নতুন ২৯জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করা হলেও এদিন রিপোার্ট আসেনি।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগসূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত জেলার মোট ৫ হাজার ৬শ ৫৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়। শনিবার পর্যন্ত মোট রিপোর্ট এসেছে ৫ হাজার ৫শ ২৮ জনের। যার মধ্যে আক্রান্ত হিসেকে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪শ ১৪ জন। শনিবার আরও ১২ জন সুস্থ হয়ে মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২শ ৬৫ জন। রিপোর্ট পেতে বাকি রয়েছে ১শ ২৯ জনের রিপোর্ট। যার মধ্যে প্রায় একশ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট অনেক আগেই থেকেই হদিস মিলছে না। এ হিসেবে রিপোর্ট পেতে বাকি নতুন প্রেরিতগুলোই। শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে ১৫ জনের নেগেটিভ। যে দুজনের পজিটিভ তথা কোভিড-১৯ রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে একজনের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের শান্তিপাড়ায়, অপরজন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের। বর্তমানে অসুস্থদের মধ্যে হাসপাতাল তথা প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রয়েছেন ১১ জন। বাড়ি তথা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৯৮ জন। যে ক’জনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে তাদের মধ্যে প্রায় সকলেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা সেই ৩৬ জনই রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ ও নোভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির তরফে বারবারই বলা হচ্ছে, নানা উদ্যোগ সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নানা কারণে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হ্রাস পেলেও সকলকে যথাযথভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। কেননা, ভয়াবহ ছোঁয়াছে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব রয়েছে। আসন্ন শীতে এর দ্বিতীয় দফা প্রকোপ বাড়তে পারে। দ্বিতীয় বারের সংক্রমণ আরো ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য বিভাগসহ ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের প্রায় সকলে। ফলে মাস্ক পরা, সামাজিক দুরুত্ব বজয় রাখা, জরুরী প্রয়োজন না হলে বাইরে বের না হওয়াসহ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। অসতর্কতার কারণে নিজের এবং সমাজের বড় ধরণের ক্ষতি হতে পারে।

Comments (0)
Add Comment