আগে হাসিনার ইশারায় আদালতের রায় হতো, এখন কার: আবু হানিফ

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, বরিশালে জাতীয় পার্টির মিছিলে যোগ দেয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, সেটা প্রতিহত করতে গেলে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছিল। এখন আবার সেই জাতীয় পার্টি মামলার আবেদন করে সেটা আদালত গ্রহণ করেন। এই আদালতে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসরদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আগে হাসিনার নির্দেশে রায় হতো এখন কার নির্দেশে আদালত চলছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। আদালতকে ফ্যাসিবাদের দোসর মুক্ত করতে হবে।

শুক্রবার বিকালে বরিশালে আদালত কর্তৃক গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এসব কথা বলেন। কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে মুক্তমঞ্চের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।

আবু হানিফ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের নামে আদালত কিভাবে মিথ্যা মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেয় সেটা বোধগম্য নয়। এই বিপ্লবীদের নামে মামলা হচ্ছে কাদের ইশারায় আমরা জানতে চাই। জাতীয় পার্টির বিচারের আগে কোনো কাজ করতে দিবে না এই দেশের জনগণ।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় হাসিনা। হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনো দেশে রয়ে গেছে। ১৪ দল ও জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিবাদ হতে সহযোগিতা করেছে।

তিনি আরও বলেন, বরিশালে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ ২৫ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা নিতে আদালত যে নির্দেশ দিয়েছেন আমরা তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আবু হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগের বিচারের পাশাপাশি এই দোসরদের বিচার হওয়া উচিত। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ১১ মাস হয়ে গেলেও এখনো আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে যারা ক্ষমতায় বসেছে তারাও দায়িত্ব পালন করছে না। এই সরকার আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের পাহারাদার হিসেবে কাজ কাজ করছে।

আবু হানিফ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান না হলে এই দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেত না। গণঅভ্যুত্থানে যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে, দেশকে মুক্ত করার জন্য পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিল তাদের মধ্যে অন্যতম নুরুল হক নুর।

এতে কিশোরগঞ্জ জেলা গণঅধিকার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন তালুকদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- যুব অধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি সোহাগ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ রমজান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ইমন খান, সাধারণ সম্পাদক পায়েল চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকসহ সভাপতি আশরাফ প্রমুখ।