স্টাফ রিপোর্টার:চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজ জোয়ার্দার বিপুলের হুমকি ধামকিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে কৃষি অফিস। তার অকথ্য গালাগালি ও হুমকির কারণে এলাকায় স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে ভয় পা”েছন নারী কৃষি কর্মকর্তা পাপিয়া খাতুন। রোববার তাকে গালাগালি ও দেখে নেওয়ার হুমকির একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। চাহিদা মতো সার না পেয়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওই কৃষি কর্মকর্তাকে আজেবাজে গালাগালি করেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের বিসিআইসি সার ডিলার আমিনুল ইসলামের গোডাউনে ১০ বস্তা সার নিতে জাহাপুর গ্রামের হেলাল নামের একজনকে পাঠান নাগদাহ ইউপি চেয়ারম্যান ও ¯’ানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এজাজ ইমতিয়াজ জোয়ার্দার বিপুল। সেখান থেকে ওই পরিমাণ সার দিতে না পেরে এলাকার দায়িয়ত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পাপিয়া জোয়ার্দ্দার তাকে অন্যত্র পাঠান সার নেওয়ার জন্য। এতে ক্ষেপে যান চেয়ারম্যান বিপুল। এ সময় তিনি পাপিয়াকে মোবাইলফোনে অকথ্য গালাগালি করেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এ বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পাপিয়া খাতুন বলেন, ‘উনি আমার কোনো কথাই শুনতে চাননি। অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছেন। আমি এখন আতঙ্কিত। বিষয়টি আমি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।’ নাগদাহ ইউপি চেয়ারম্যান অভিযুক্ত বিপুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই মহিলার ব্যবহার খুব খারাপ। তাই কিছু কথা বলে ফেলেছি। এখন খারাপ লাগছে।’ আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ জানান, ‘চেয়ারম্যান বিপুল রীতিমতো কৃষি অফিসারকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এর আগেও তিনজন কৃষি কর্মকর্তা তার ভয়ে ওই এলাকা ছেড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বেগ জানা”িছ। ঘটনার দিনই বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। তারা যেভাবে বলবেন আমরা সেভাবে এগোবো। এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ‘আমি মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি এবং অডিওক্লিপটি শুনেছি। কৃষি অফিস লিখিতভাবে বিষয়টি আমাকে জানাবে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যব¯’া নেওয়া হবে।’