এনআইডি সংশোধনে ৩০ হাজার টাকা দিলেই লাগবে না শিক্ষাসনদ

চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর খাজার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে ৩০ হাজার টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মাইনুদ্দিন খাজার বিরুদ্ধে। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ না থাকায় সেবাগ্রহীতার কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। এ ঘটনায় গতকাল জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাতগাড়ি নতুনপাড়ার মিঠুন আলী।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহরের সাতগাড়ি এলাকার মৃত তাহাজ উদ্দীনের ছেলে শান্তি মিয়ার জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম ও জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য কয়েকদিন আগে অনলাইনে আবেদন করেন। গতকাল তার শ্যালক একই এলাকার মিঠুন আলী সংশোধনের বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসে যান। সেখানে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কর্মরত মাইনুদ্দিন খাজা তাকে মাধ্যমিক পাশের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দিতে বলেন। তবে শান্তি মিয়া মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা না করার কারণে অষ্টম শ্রেণির সনদ দেয়ার কথা বলেন মিঠুন। এসএসসি সার্টিফিকেট ছাড়া এনআইডি সংশোধন সম্ভব নয়, তবে ৩০ হাজার টাকা দিলে সংশোধন করে দেয়া যাবে বলে জানান মাইনুদ্দিন খাজা। এ ঘটনার পর কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মিঠুন আলী।

জেলা নির্বাচন অফিসার তারেক আহমেমদ বলেন, মাইনুদ্দিন খাজা একটি প্রকল্পে নিয়োগ পেয়ে নির্বাচন অফিসে কাজ করছে। মূলত তার কর্মস্থল দামুড়হুদা উপজেলা অফিসে। তবে সেখানে অভিজ্ঞ কর্মকর্তা-কর্মচারী না থাকায় জেলা অফিসে কর্মরত অভিজ্ঞ এক কর্মচারীকে দামুড়হুদায় পাঠানো হয়েছে। তার স্থলে কাজ করছেন মাইনুদ্দিন।

তারেক আহমেমদ বলেন, আমি মেহেরপুর পৌর নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। মাইনুদ্দিনের টাকা চাওয়ার অভিযোগের বিষয়টি জানার পরপরই প্রধান সহকারীর মাধ্যমে তাকে অফিসে ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে অফিসিয়াল আদেশে তাকে তার কর্মস্থল দামুড়হুদায় পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন, আমি অফিসে না থাকার সুযোগে এ ধরণের ঘটনাটি ঘটেছে। আমার কাছে কোনো অসাধু ব্যক্তি স্থান পাবে না।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, জেলা নির্বাচন অফিসে সেবাগ্রহীতার কাছে কর্মচারীর অর্থদাবির বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের তদন্ত করা হবে। আমি নিজেও সেখানে যাবো। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Comments (0)
Add Comment