কার্পাসডাঙ্গায় অবৈধযান ট্রাক্টরের বেপরোয়া গতি কেড়ে নিল পিমপ্যাক্সে কর্মরত মিনালের প্রাণ

 

 
কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় অবৈধযান মাটি বোঝায় ট্রাক্টরের বোপরোয়া গতি কেড়ে নিল মিমপেক্স এগ্রোক্যামিকেলস লিঃ কোম্পানির ফিল্ড অফিসার ১ সন্তানের জনক মিনাল (৩০) এর প্রাণ। মিনাল কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের সদাবরি গ্রামের মৃত আত্তাবের ছেলে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে দর্শনা-মুজিবনগর সড়কের কার্পাসডাঙ্গা বাজারের আরামডাঙ্গা বটতলায় এই দূর্ঘটনা ঘটে।
মিনাল কার্পাসডাঙ্গা এলাকায় মিমপেক্স এগ্রোক্যামিকেলস লিঃ কোম্পানির ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য সুত্রে জানা যায়, মিনাল কোম্পানির কাজে মোটরসাইকেলযোগে কার্পাসডাঙ্গা থেকে রওনা হয়ে কবরস্থানমোড়ে দিকে যাচ্ছিলো। আরামডাঙ্গা বটতলা থেকে কিছু দূর পৌছালে পিছন থেকে দ্রুত গতিতে আসা অবৈধযান মাটি বোঝায় ট্রাক্টর পিছন থেকে মোটরসাইকেলে  ধাক্কা দেয়। এসময় মোটরসাইকেল থেকে মিনাল ছিটকে পড়ে যায়। এসময় গুরুতর আহত হয়ে মিনাল ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। এবিষয়ে স্থানীয়রা জানান, মিনাল কোম্পানির কাজে কার্পাসডাঙ্গা মুচির বটতলার দিকে যাচ্ছিল এসময় দ্রুত গতিতেও মাটি বোঝায় অবৈধ ট্রাক্টর মুচির বটতলার দিকে যাচ্ছিলো। পিছন থেকে লাল রংয়ের নতুন হিরোহোন্ডা মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে রাস্তার উপরে মিনাল ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। পরে গাড়ির চালক গাড়ি রেখে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানায় গাড়ির মালিক চন্দ্রবাস গ্রামের ও ড্রাইভারও চন্দ্রবাস গ্রামের। দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, বিষয়টি শুনেছি। লাশ পরিবারের লোকজন নিজ বাড়িতে নিয়ে গেছে। এবিষয়ে কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ির আইসি এসআই আতিকুর রহমান জুয়েল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। মাটি বোঝায় ট্রাক্টর আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে এসেছি। লাশ বাড়িতে নিয়ে গেছে পরিবারের লোকজন। স্থানীয় সচেতনব্যক্তিরা জানান, প্রতিদিন এই অবৈধযান মাটি বালু বোঝায় ট্রাক্টর সড়কে যে ভাবে বোপরোয়া গতিতে চালাচ্ছে তা ভাবিয়ে তুলেছে। কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের সচেতন ব্যক্তি মনোয়ার হোসেন জানান, যেভাবে দ্রুত গতিতে এই অবৈধযান চলাচল করছে তা আমাদের রাস্তায় বের হওয়া ঝুকিপূর্ণ। মিনাল আমার ক্লাস ফ্রেন্ড। সে খুব ভালো ছেলে ছিলো। তার ৪ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। তার মৃত্যুর খবর শুনে খুব কষ্ট পেয়েছি। এদিকে এলাকাবাসি জানায়, দ্রুত গতির অবৈধযান ট্রাক্টরের বিষয়টি যদি উর্ধতণ কর্তৃপক্ষ মাথায় নিতো তাহলে সড়কে এরকম তাজা প্রাণ ঝরতো না।
Comments (0)
Add Comment