কিশোর চালকের পাশে বসে থাকা কিশোর রিয়াদের মর্মান্তিক মৃত্যু

দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় মাইক্রোবাস নিয়ে ঘুরতে গিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা

কার্পাসডাঙ্গা/ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় দ্রুতগামী একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এক কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ওই কিশোরের নাম রিয়াদ হোসেন (১৩)। সে মাইক্রোবাসের চালকের আসনের পাশে বসে ছিলো। এ দুর্ঘটনায় শামীম হোসেন (১৫) নামের আরেক কিশোর আহত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঘাডাঙ্গা গ্রামের জামে মসজিদের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রিয়াদ হোসেন কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের আরামডাঙ্গা গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে। আহত শামীম হোসেন পার্শ্ববর্তী কোমরপুর গ্রামের মিঠুন আলীর ছেলে।

নিহত কিশোর রিয়াদ হোসেন

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে আরামডাঙ্গা গ্রামের ইউনুচ বিশ্বাসের ছেলে রিয়াদ ও কোমরপুর গ্রামের মিঠুনের ছেলে শামিম আরামডাঙ্গা বটতলায় থাকা মাইক্রোবাসটি চালিয়ে কার্পাসডাঙ্গা কাউন্সিলমোড়ে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে রওনা হয়ে দর্শনা সড়কের বাঘাডাঙ্গা নতুনপাড়া মসজিদের নিকট পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে থাক্কা লাগে। এ সময় মাইক্রোবাসটির বডি ও ইঞ্চিন আলাদা হয়ে যায়। চালক শামিমের পাশে বসে থাকা রিয়াদ ঘটনাস্থলে মারা যায় এবং চালক শামিম আহত হয়। স্থানীয়রা আহত শামীমকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠাই। রিয়াদের মৃত্যুর খবর দ্রুত ছাড়িয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে আসেন। খবর পেয়ে কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ির আইসি এসআই ইমরান হোসেন সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। মরদেহ ও ভাঙ্গা মাইক্রোবাস উদ্ধার করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। মৃত কিশোরের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় পুলিশ লাশ পরিবারের কাছে হস্থান্তার করেন।

স্থানীয়রা আরো জানান, মাইক্রোবাস চালক মিঠুনের ছেলে শামিম তার বাবার কাছ থেকে গাড়ির চাবি নিয়ে সকালে এসে আরামডাঙ্গা বটতলায় থেকে মাইক্রোবাসটি কাউন্সিলমোড় স্ট্যান্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা হয়। এ সময় রিয়াদ শামিমের সাথে গাড়িতে ওঠে। মাইক্রোবাসটি স্ট্যান্ডে না রেখে দর্শনা সড়কে রওনা হয়ে কার্পাসডাঙ্গার বাঘাডাঙ্গার নতুনপাড়া মসজিদের নিকট পৌঁছালে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা দেয়। স্থানীয়রা আরো জানান গাড়ি গতিবেগ ছিলো অনেক।

কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ির আইসি এসআই ইমরান হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। লাশ ও ভাঙ্গা মাইক্রোবাস উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসি। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের নিকট হস্থান্তর করে দিই। তবে মাইক্রোবাসে থাকা দুজনই ছিলো কিশোর। গতকাল বুধবার যোহরের নামাজের পর আরামডাঙ্গা কবরস্তানে জানাজা শেষে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মুসল্লিদের উপস্থিতিতে বেদনা বিধুর পরিবেশে মরদেহের দাফন সম্পন্ন করা হয়।

Comments (0)
Add Comment