কেরুজ চিনিকলের আখ মাড়াই মরসুমের যাত্রা শুরু হচ্ছে আজ

লোকসানের বোঝা কমাতে সকল প্রতিকূলতা মোকাবেলায় প্রস্তুত মিল কর্তৃপক্ষ

দর্শনা অফিস: লোকসান কমাতে লাভের আশায় কেরুজ চিনিকলের ২০২০-২১ আখ মাড়াই মরসুমের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে আজ। এবারের মরসুমে কুষ্টিয়া জগতি চিনিকলের আখ মাড়াই করা হবে কেরুজ চিনিকলে। ইতোমধ্যে ধোয়া-মোছা, ঝালাই-মেরামত, রং-চুনের কাজ শেষ করা হয়েছে। বয়লারে আগুন দেয়ার পাশাপাশি উদ্বোধনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন মিল কর্তৃপক্ষের। এ মরসুমে ১ লাখ ৫৪ হাজার মেট্রিকটন আখ মাড়াই করে ৯ হাজার ৬২৫ মেট্রিকটন চিনি উৎপাদন করবে কেরুজ চিনিকল। কেরুজ চিনিকলের নিজস্ব ১ হাজার ৫শ ৫০ একর জমিতে ২৪ হাজার মেট্রিক টন আখ, কৃষকের ৬ হাজার ৯শ ৮২ একর জমিতে ৯৪ হাজার মেট্রিকটন আখ দন্ডায়মান রয়েছে। এছাড়া বন্ধ হওয়া কুষ্টিয়া চিনিকলের আওতাধীন কৃষকদের ৩৬ হাজার মেট্রিকটন আখ মাড়াই করা হবে কেরুজ চিনিকলে। ফলে এবারের মাড়াই দিবস নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৪। চিনি আহরণের গড় হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। আজ শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে কেরুজ ক্যান ক্যারিয়ার চত্বরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মিল কর্তৃপক্ষ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি হাজি আলী আজগার টগর। সভাপতিত্ব করবেন কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু সাঈদ। মিলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) শেখ শাহাব উদ্দিন জানিয়েছেন, উদ্বোধনী আয়োজনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় থাকবেন চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) রাব্বিক হাসান, মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) গিয়াস উদ্দিন, মহাব্যবস্থাপক (ডিস্টিলারি) ফিদাহ হাসান বাদশা, মহাব্যবস্থাপক (কারখানা) সুমন কুমার সাহা, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি তৈয়ব আলী ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান। আলোচনা ও দোয়া মাহফিল শেষে মিল ডোঙ্গায় আখ নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে চলতি মাড়াই মরসুমের উদ্বোধন করবেন এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও হাজি আলী আজগার টগর। মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু সাঈদ জানান, কেরুজ চিনিকল এ অঞ্চলের অন্যতম অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি হিসেবে রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। সেই সাথে সামাজিক, শিক্ষা ও রাস্তা-ঘাট উন্নয়নেও রয়েছে এ মিলের অবদান। দীর্ঘ ৮৩ বছর এ অঞ্চলকে করে রেখেছে আলোকিত। দেশের চিনিশিল্প আজ ক্লান্তিকাল অতিক্রম করছে। এলাকার ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে হলে বাঁচিয়ে রাখতে হবে কেরুজ চিনিকল। সেক্ষেত্রে বেশী বেশী আখ চাষ, শ্রমিক-কর্মচারীদের নিষ্ঠা, সততা, কর্মদক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। পাশাপাশি লোকসান কমিয়ে লাভের আশায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

Comments (0)
Add Comment